রাজ্য জুড়ে আবাস যোজনার দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। মুর্শিদাবাদের শেষ সীমান্ত সাগরপাড়া এলাকার মানুষের অভিযোগ, যাঁরা দুঃস্থ মানুষ, তাঁদের আবাস যোজনার তালিকায় নাম নেই। মঙ্গলবার তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা যায় মাত্র ১৮৭জনের নাম এসেছে, তারমধ্যে বেশির ভাগই সংরক্ষিত। এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী নুরুল হোসেন বলেন, '' আমি মাটির বাড়িতে থাকি। কিন্তু আমার নাম তালিকায় নেই। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বাড়ি না পেলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলন করব।'' সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তামান্না ইয়াসমিন বলেন, আমরা বিডিও অফিসে জানাব যাতে আবার নতুন করে সার্ভে করা হয়।
advertisement
গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নাম, স্বামীর নাম ও তাঁদের আত্মীয়-পরিজনের নাম রয়েছে আবাস যোজনার ঘরের তালিকায়। অথচ যাঁরা প্রকৃত ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁদেরই নাম নেই তালিকায়৷ এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ লালগোলার ময়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই সদস্যা মাম্পি ঘোষ ও ঝুমা সিংহ দাসের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ পঞ্চায়েতের ২২৭নং সংসদের সদস্য মাম্পি ঘোষের ভাসুরের ব্যবসা, মুদিখানার দোকান ও পাকা বাড়ি রয়েছে কিন্তু ঘরের তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। আবার মাম্পি ঘোষের স্বামী সন্দীপ ঘোষ এবং দেওরের নামও রয়েছে তালিকায়৷ যদিও মুদিখানার দোকান ও পাকা বাড়ি নেই বলে জানান মাম্পি ঘোষের ভাসুর মনোজ ঘোষ। মাম্পি ঘোষের স্বামী সন্দীপ ঘোষের দাবি, তাঁর নামে নয়, অন্য সন্দীপ ঘোষের নাম রয়েছে তালিকায়। আবার ২২৮নং সংসদের সদস্য ঝুমা সিংহ দাসের দোতলা পাকা বাড়ি। অথচ তার স্বামী বাপিন দাসের নাম, ভাই মিন্টু সিংহের নাম রয়েছে আবাসের তালিকায়৷ যদিও এই বিষয়ে কিছু জানা নেই বলেই জানিয়েছেন প্রধান রেহেনা বিবি। তিনি বলেন,বিডিও সার্ভে করে তালিকা প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।