এলাকার বাসিন্দা শান্তনু মজুমদার বলেন , ‘‘প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই মুসুরী মায়ের পুজো হয়ে আসছে। এই মা খুব জাগ্রত। অনেকেই মায়ের দেখা পেয়েছেন। ফলে গ্রামের সকলে মানেন এই মুসুরী মাকে। পাশেই জাতীয় সড়ক থেকে যে সব চালকরা যান, তাঁরাও প্রণাম করে যান, তাঁরা বিশ্বাস করেন মায়ের দর্শন পেলে যাত্রা ভাল হয়। পুজো হয় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ছোট করে মেলাও হয়। গ্রামের মানুষজন পুজো নিয়ে খুব উৎসাহিত থাকেন।"
advertisement
আরও পড়ুন : আসছে ফাগের দিন, গোলাপের পাপড়ি, গাঁদাফুল, বিট থেকে ভেষজ আবির তৈরি হচ্ছে গৃহবধূদের হাতে
আরও পড়ুন : জলে কুমির, ডাঙায় বন্য শূকর, সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সতর্কতামূলক প্রচার বন দফতরের
পুজো কমিটির সম্পাদক স্বপন কুমার নন্দী বলেন, ‘‘প্রায় ৪০০ বছর আগে এই এলাকার এক পুরোহিত স্বপ্ন দেখেন যে বসন্ত মা অর্থাৎ মুসুরী মা এই গ্রামের রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। এর পর এখানে পুজো শুরু হয় মায়ের। স্বপ্নাদেশ পাওয়া পুরোহিতই পুজো করেন এখানে। বংশ পরম্পরায় পুজো করে আসছেন তাঁরা। প্রায় ৩৮ বছর ধরে এই পুজোর সঙ্গে যুক্ত বলেও জানান তিনি। কিছু দানসামগ্রী আসে, তা বছরের পর বছর ধরে পুজোর কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। শুধু আমড়া গ্রাম নয়, আশপাশের একাধিক গ্রাম থেকে পুজো দিতে আসেন অনেকে। বলিও দেওয়া হয় এখানে, যদিও ছাগ বলি বর্তমানে বন্ধ।’’ সব মিলিয়ে এই পুজো ঘিরে উৎসবের মেজাজে আছেন স্থানীয় গ্রামের মানুষজন।
( প্রতিবেদন : মালবিকা বিশ্বাস)