এ বার দিদির দূত হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে দল বদল নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হল বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। নির্বাচনে জেতেনও বিজেপি-র টিকিটে। কিছুদিনের মধ্য়েই অবশ্য় ফের পুরনো দল তৃণমূল কংগ্রেসেই ফেরেন তিনি। এ নিয়েই এ দিন তাঁকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতার হাতে চড় খেয়েছিলেন, এবার সেই সাগরের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ
দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ দিন বাগদার বাঁশঘাটা এলাকায় যান বিশ্বজিৎ দাস। সেখানে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ধরনের অভাব অভিযোগের কথা শুনতে হয় তাঁকে। এলাকাবাসীর ক্ষোভ নিরসনে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক। এরই মধ্য়ে রামপদ মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধ বিধায়ককে সরাসরি প্রশ্ন করেন, আপনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। আবার বিজেপি-র হয়ে ভোটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন, আপনার কথা কীভাবে বিশ্বাস করবে?'
সরাসরি এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে বেশ কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়েন বাগদার বিধায়ক এবং বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি। যদিও নিজেই পরিস্থিতি সামাল দেন তিনি। বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'বিধায়ক কোনও দলের হয় না।'
আরও পড়ুন: দিলীপের দেদার প্রশংসা কুণালের, বললেন, 'পারফরম্যান্স ভাল, প্রমোশন পাওয়া উচিত'
পরে অবশ্য় বিধায়ক সংবাদমাধ্য়মের সামনে বলেন, 'এই এলাকার মানুষ মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের শুরু করা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের অনেক সুবিধা পেয়েছেন। ওই ব্য়ক্তিও স্বাস্থ্য় সাথী কার্ড পেয়েছেন। ওনার পরিবারের সদস্য় লক্ষ্মীর ভান্ডার পেয়েছেন। কিন্তু এখন এসসি কার্ড না পাওয়ায় লক্ষ্মীর ভান্ডারে মাসে এক হাজার টাকা করে পাচ্ছেন না। সেটাও আমরা করে দেব। কিন্তু সরকারের বদনাম করার জন্য় কিছু মানুষ থাকেন। উনিও সেটাই প্রমাণ করলেন।'
যে বৃদ্ধ এ দিন বিধায়ককে দল বদল নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, সেই রামপদ মণ্ডল পরে বলেন, 'ওনার কথায় কী করে বিশ্বাস করব? নেতারা তো এরকম করেই থাকেন। আমাদের কিছু করার নেই। উনি আশ্বাস দিয়েছেন সব করে দেবেন, না করা পর্যন্ত বিশ্বাস নেই।'
এ দিন বাঁশঘাটা গ্রামেই রাস্তা সংস্কারের দাবিতে বিধায়কের গাড়ি আটকে রাখেন স্থানীয় মহিলারা। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক রাস্তা পরিদর্শন করে সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভকারীরা সরে যান।