বাবা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিঠে চড়ে বীরসিংহ গ্রাম থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে মাইলস্টোন দেখে বিদ্যাসাগর শিখেছিলেন ইংরেজি সংখ্যা। আর সেই মাইলস্টোন দিয়েই এবার সাজানো হচ্ছে বীরসিংহ গ্রামের বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দিরটিকে।
মাইলস্টনে তুলে ধরা হয়েছে বিদ্যাসাগরের জীবনের একাধিক ঘটনা ও স্মরণীয় সাল। করোনার জেরে বিদ্যাসাগর মেলা পিছিয়ে এবার করা হয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। আর তারই আগে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরে তাঁর জীবনের একাধিক ঘটনা তুলে ধরতে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদ।
advertisement
আরও পড়ুন- আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের থেকেই এবার টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠাল ব্লক প্রশাসন
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮২০ সালের ২৬ শে সেপ্টেম্বর। তার পর ধাপে ধাপে ১৮২৮ সালে কলকাতায় আসা, সংস্কৃত কলেজে পড়াশোনা, ১৮২৯ থেকে ১৮৪১, বিদ্যাসাগরের বিবাহ ১৮৩৪ সালে, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে যোগদান ১৮৪১ সালে। বেতাল পঞ্চবিংশতি বই লেখা ১৮৪৭, ভ্রান্তি বিলাস বই লেখা ১৮৬৯। ১৮৯১ সালের ২৯ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়।
মোট এমনই চৌদ্দটি মাইলস্টোন পোতা হয়েছে বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরের প্রবেশ দ্বারে, যা রীতিমতো শিহরণ জাগাতে পারে পর্যটকদের মনে। বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দির কর্মকর্তারা এমনই দাবি করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীরা দাবি তুলেছিলেন, বিদ্যাসাগর স্মৃতি মন্দিরকে ঢেলে সাজানো হোক। অনেকেই বলছিলেন, পর্যটকরা বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ গ্রামে আসলে মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায়। বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বিজড়িত এলাকাতে তেমন কিছুই দেখার মতো ছিল না। অবশেষে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিদ্যাসাগরের স্মৃতি মন্দির ও বীরসিংহ গ্রামে দেওয়ালে দেওয়ালে সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিদ্যাসাগরের ছবি দিয়ে তাঁর অনেক স্মৃতির কথা।
আরও পড়ুন- জালে উঠল প্রায় কোটি টাকার 'সম্পদ'! অসময়ে বরাত খুলল মৎস্যজীবীদের, দিঘায় শোরগোল
শুধু তাই নয়, বিদ্যাসাগরের আমলের কাঁচা মাটি বিদ্যালয়টিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। এমনকি বিদ্যাসাগরের গ্রামের পুকুরটিও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এককথায় বলতে গেলে, বিদ্যাসাগরের জন্মভিটে ঘুরতে গেলে এবার মন ভরবে পর্যটকদের। এমনই মনে করছেন বীরসিংহ গ্রামের বাসিন্দা থেকে শুরু করে জেলাবাসী, প্রত্যেকেই।