ছিল বেড়াল, হয়ে গেল রুমাল। কিন্তু, তাই আবার হয় নাকি? হবে না কেন? দিব্যি হচ্ছে। আকছার হচ্ছে।
কিছুদিন আগেই তার নমুনা দেখেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের সরস্বতী শিশুমন্দির ও বিদ্যামন্দির। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ পরিচালিত এই স্কুলের বোর্ডে, জায়গার নাম ইসলামপুরের বদলে ঈশ্বরপুর করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিতর্কের রেশ কাটার আগেই ফের নামবদল।
advertisement
এবার মুর্শিদাবাদে। এবারও কীর্তি সেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্কুলেই। মুর্শিদাবাদের চক ইসলামপুরের সরস্বতী শিশুমন্দির। স্কুলের বোর্ডে, কাগজপত্রে অবশ্য জায়গার নাম লেখা চক শান্তিনগর। আশপাশের স্কুলগুলির ঠিকানায় অবশ্য চক শান্তিনগরের চিহ্নমাত্র নেই। তাহলে এই নাম কোথা থেকে এল? ধোঁয়াশায় স্থানীয় বাসিন্দারাও।
স্কুলে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভরতির জন্য প্রচার চলছে। লিফলেট থেকে মাইকে প্রচার। সবেতেই চক শান্তিনগর নামটাই উঠে আসছে বারবার। কিন্তু, সরকারি নথিতে যে এই নাম নেই তা জানে স্কুল কর্তৃপক্ষও। অনেকেরই দাবি, স্কুলটি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পরিচালিত। তাই এমন নামবদলের ধুম। নামবদলে আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল।
কেঁচো খুঁড়কতে বেরলো কেউটে। ডোমকলের চক ইসলামপুরের এই স্কুল তৈরি হয়েছে উনিশশো বিরানব্বইয়ে। প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় এখানে। কিন্তু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রেজিস্ট্রেশন থাকলেও অনুমোদন নেই শিক্ষা দফতরের।
এভাবে ইচ্ছে মত নাম বদল করা যায় কি? নাকি শুধুই ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে রাজনৈতিক লাভ হাসিলই লক্ষ্য? তাতে বোড়ে করা হচ্ছে স্কুলের ছোট ছোট পড়ুয়াদের।