রঙ্গজীব বলেন, “প্রায় পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এই শিল্প আমার ভাল লাগে। আমার কাছে দামোদরের মতো একটা বড় জায়গা রয়েছে যেখানে বিভিন্ন শিল্প ফুটিয়ে তোলা যায়। প্রাচীন সভ্যতার নানা নিদর্শন আমি তুলে ধরার চেষ্টা করি।” ওড়িশা, গুজরাত, তামিলনাড়ু, রাজস্থান-সহ আরও বিভিন্ন জায়গায় বালি শিল্পের উপর কাজ করেছেন তিনি। একাধিকবার বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন তিনি, সেখানেও তাঁর কাজ সকলের সামনে প্রদর্শিত হয়েছে। বালি শিল্প ছাড়াও ল্যান্ড আর্টের উপর কাজ করে থাকেন রঙ্গজীব বাবু। খোলা পরিবেশের মধ্যেই ওয়েস্ট মেটিরিয়াল দিয়ে তুলে ধরেন চোখ ধাঁধানো শিল্প। বর্তমানে জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা এমনকি বিদেশেও সুনাম রয়েছে তাঁর।
advertisement
বিবেকানন্দ কলেজ মোড়ে একটানা বহু বছর সবজি বিক্রি করেছেন তিনি। তবে সবটাই শুধুমাত্র নিজের পড়াশোনার জন্য। রঙ্গজীব আরও বলেন, “একসময় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবে পরবর্তীতে সবজি বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছি। ভাবতেও পারিনি এত ভাল জায়গায় যাব। অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। আমার কাজ বিদেশেও প্রদর্শিত হয়। এখন আমার সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিনিয়ত বিদেশিরাও আসেন।”
আরও পড়ুন : মহাশূন্যে পাড়ি দেওয়ার সূত্রপাত! ISRO থেকে বিশেষ আমন্ত্রণ বীরভূমের ছাত্র আরসালান আহমেদকে
রঙ্গজীববাবুর দৌলতে সারাবছর বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশিরা বর্ধমানে আসেন বালি শিল্পের উপরে কাজ করার জন্য। রঙ্গজীব বাবুর হাতের ছোঁয়ায় বালিও যেন এক অন্য রূপ পায়। দীর্ঘদিনের নেশা এই শিল্পের উপর আগামী দিনেও উন্নতমানের কাজ করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। জেলার নাম, রাজ্যের নাম ছড়িয়ে দেবেন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও।