এদিন হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার রামচরণ শেঠ রোডের একটি আবাসনে ভ্যানে করে আসবাব বওয়ার কাজ করছিলেন ভ্যানচালক যুগল দাস। সেই কাজেরই অঙ্গ হিসাবে আবাসনের ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে কাঁধে করে আসবাব বয়ে এনে ভ্যানে তুলছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, আসবাব নিয়ে ভ্যানে তোলার সময়ই ওই আবাসনের গেটে শরীর স্পর্শ হতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন যুগল দাস। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: যখন তখন উল্টোয় টোটো, বসে যায় বাইকের চাকা! কিরীটেশ্বরী মন্দিরের পথ ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠছে
এই ঘটনায় ওই অবসানের বাসিন্দাদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েছেন। কীভাবে আবাসনের গেট এমন মরণফাঁদ হয়ে উঠল সেটা কেউ বুঝতে পারছেন না। কারোর কারোর অনুমান, বর্ষার টানা বৃষ্টির কারণে কোনভাবে ওই গেটটি বৈদ্যুতিক তারের সংস্পর্শে চলে এসেছিল। আর তার থেকেই এই বিপত্তি ঘটেছে।
এদিকে পুলিশ নিয়মমাফিক ওই ভ্যানচালকের দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সবরকম সম্ভাবনার দিকই খতিয়ে দেখছে। ওই আবাসনের গেট কোনভাবে বৈদ্যুতিন তারের সংস্পর্শে এসেছিল, নাকি পড়ে গিয়ে ওই ভ্যানচালকের মৃত্যু হয়েছে, সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে, এই ঘটনা থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়ার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্ষাকালে ধাতব যে কোনও জিনিস বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বিপদ ঘটাতে পারে, এমনকি মৃত্যুদূত হয়ে উঠতে পারে। তাই বর্ষাকালে বিশেষ করে বাড়ির পাশাপাশি রাস্তায় ধাতব রেলিং এবং বৈদ্যুতিক জয়েন্ট বক্স ও বৈদ্যুতিক বাতিস্তম্ভ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।