লাইফ সেভিং সুইমিং কম্পিটিশনে দেশের হয়ে কানাডায় আয়োজিত কমনওয়েলথ গেমসে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন উত্তরপাড়ার বছর ২০ এর অনিল সাউ। তবে তাঁর কাছে এখন একটাই বাঁধা, কীভাবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার খরচ আসবে।
উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অনিল সাউ একজন কলেজ পড়ুয়া। ব্যাচেলর ইন কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক ২য় বর্ষে পড়াশোনা করছে। গত জুন মাসে বেঙ্গালুরু জুলাই মাসে পুনেতে অনুষ্ঠিত লাইভ সেভিং চ্যাম্পিয়নশিপে জিতের কানাডা যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন অনিল।
advertisement
সারা ভারতে থেকে মাত্র ১২ জন।তার মধ্যে পশ্চিম বাংলার মাত্র দুজন। অনিল ছাড়া কলকাতার আরো একজন রয়েছেন। আগামি ১৩ই সেপ্টেম্বর কানাডাতে হবে সেই প্রতিযোগীতা “লাইফ সেভিং সুইমিং”।
খুবই দরিদ্র পরিবারের ছেলে অনিল। বিদেশে যাওয়া তাঁর কাছে স্বপ্ন। সেক্ষেত্রে তাঁর কাছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক সমস্যা। বৃদ্ধ মা, বাবা ও দাদাকে নিয়ে তাঁদের সংসার।
উত্তরপাড়ার একটি এক কামরার ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকে তাঁর গোটা পরিবার। দাদা সুনীল সামান্য মাইনের চাকরি করে ভাইকে কমনওয়েলথ গেমসে পাঠাতে মরিয়া চেষ্টা করছেন।
সুনীল বলেন, ভাই সুযোগ তো পেয়েছে কানাডা যাওয়ার। কিন্তু এখনো অনিশ্চয়তা কাটেনি। তাই রোজ সকাল সন্ধ্যায় ছুটে বেড়াচ্ছেন স্পন্সর জোগারের জন্য। ভাইকে কানাডা পাঠাতে প্রায় দু লাখ আঠান্ন হাজার টাকা খরচ, কোথা থেকে আসবে এত টাকা? কে দেবে? উত্তর জানা নেই তাদের।
আরও পড়ুন- ধোনির এই দিদি থাকেন প্রচারের আড়ালে! ভাইয়ের বন্ধুকে বিয়ে, তাঁকে চেনেন না অনেকে
তবে যে সুযোগ এসেছে তা কাজে লাগাতে চায় অনিল। এই প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ পদক জিততে চলছে কঠোর অনুশীলন।অনিল বলেন,২০২১-২২ থেকে লাইফ সেভিং সুইমিং করি।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছি। ২০২৩ সালে ব্যাঙ্গালোরে জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় চারটি সোনা জিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছি।এবার যে সুযোগ পেয়েছি সেটা কাজে লাগাতে চাই। দেশের জন্য একটা সোনার পদক আনতে চাই। কোনির মতো বাস্তবে অনিল কি পারবে ফাইট করতে সেটাই এখন দেখার।
অনিলের কোচ কৌস্তুভ বাগচি বলেন, অনিল মানুষের জীবন বাঁচায়। এটা একটা মহান কাজ। ও যখন সাঁতারে এলো আমি ওকে মোটিভেট করি ওর যেটা প্যাশন সেই ইভেন্টে নামতে। বেঙ্গল থেকে প্রতিনিধিত্ব করে ব্যাঙ্গালোরে জাতীয় প্রতিযোগিতা ২৬৫ জনের মধ্যে সিলেক্ট হয়। ২৫ জনকে নিয়ে জাতীয় শিবির হয় সেখান থেকে প্রথম ১২ জনে সুযোগ পেয়েছে। এটা একটা বড় ব্যাপার। অবশ্যই ওর আর্থিক সমস্যা আছে।আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি অনিলের পাশে থাকার।
রাহী হালদার