পরিবার জানিয়েছে, গ্রামের যুবক শেখ রাজেশের সঙ্গে বিয়ের পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন টুম্পা। আত্মহত্যার পিছনে সেটাই অন্যতম কারণ বলে মনে করছে পরিবার। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর নির্দিষ্ট কারণ অজানা। ফেসবুক ও ফোনেই গড়ে ওঠে সম্পর্ক। আশুকুমারীর কথায়, তিনি উত্তরপ্রদেশের এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি এই বিষয়ে বলেন, “২ বছর ধরে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। আমার বন্ধু ছিল বোনের মতো। এর আগে কখনও আসিনি, যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসেছিলাম খোঁজ দিতে। মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দুঃখ হচ্ছে।”
advertisement
আশুকুমারীর কথায় তিনি তাঁর পূর্ব বর্ধমানের বন্ধুর সঙ্গে কিছুদিন ধরে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। তাই পরবর্তীতে তিনি পূর্ব বর্ধমানে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁর আচমকা আগমনে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বন্ধুত্বের এমন নিদর্শনে। যদিও গ্রামে অচেনা তরুণী দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে পুলিশে তুলে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে কোনও সন্দেহজনক তথ্য মেলেনি। কিন্তু তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে মৃত টুম্পার মা রসবা বেগম শেখ বলেন, “আমরা মেয়েটিকে চিনতাম না। পুলিশ যা ভাল মনে করবে, তাই করবে। কিন্তু আমার মেয়ে কেন এমন করল, এখনও বুঝতে পারছি না। তবে আমরা জানতাম উত্তরপ্রদেশের ওই মেয়ের সঙ্গে আমার মেয়ের বন্ধুত্ব ছিল।”
এই ঘটনায় চোখে জল এনে দিয়েছে বন্ধুত্বের নিঃস্বার্থ রূপ। টুম্পা আর নেই, তবু আশু কুমারীর যাত্রা যেন প্রমাণ করে দিল সত্যিকারের বন্ধুত্ব কোনও সীমান্ত মানে না। তবে এর ভিতরে আরও কোনও রহস্যসূত্র রয়েছে কিনা, সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে।