কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, জলমগ্ন এলাকায় শর্ট সার্কিট বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি এড়াতেই এই কঠোর সিদ্ধান্ত। কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসা পর্যন্ত স্ট্রিট লাইট চালু করা হবে না। যদিও এতে রাতের অন্ধকারে সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তবু প্রাণহানি রোধ করতেই এই ব্যবস্থা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিধাননগরের বাসিন্দাদের একাংশের মত, সাময়িক অসুবিধা হলেও মানুষের জীবন রক্ষাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
advertisement
কর্পোরেশন জানিয়েছে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ধাপে ধাপে ফের চালু হবে সমস্ত স্ট্রিট লাইট। ততদিন নাগরিকদের বাড়তি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জরুরি পরিষেবা কর্মীরা জলমগ্ন এলাকাগুলিতে টহলদারি চালাচ্ছেন। প্রয়োজনে মোতায়েন করা হবে বিপর্যয় মোকাবিলা দলও। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যেসব এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি বা তার জলে ডুবে রয়েছে সেখানে বিশেষ নজরদারি চলছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরাও নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, বিপদ এড়াতে জলমগ্ন রাস্তায় অযথা চলাফেরা না করতে। এখনকার মতো শহরের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, আর তাই ঝুঁকি এড়াতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উপর কড়া নজর রাখছে প্রশাসন।