হ্যাঁ ঠিকই শুনলেন, প্রায় চারদিন থাকবে কালী পুজোর জ্বর। প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে বাইরের নয়, বাঁকুড়ার বিশিষ্ট শিল্পীদের নিয়ে চলবে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই পুজোর আগে একটা ঐতিহ্য ছিল, কালীপুজোর দ্বিতীয় দিন আতশবাজির প্রদর্শনী। শুধু শহর বাঁকুড়া নয়, গ্রাম গ্রামান্তর থেকে পুজোর পরদিন হাজার হাজার মানুষ ভিড় করতেন শহরে এই আতসবাজির খেলা দেখতে। করোনা পরিস্থিতির পর থেকে, প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় আতশবাজি প্রদর্শনী বন্ধ রয়েছে। এই বছরও বন্ধ থাকছে সেই প্রদর্শনী। আতস বাজি প্রদর্শনী দেখবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাঁকুড়ার মানুষ। তবে এই বছরও পাওয়া যায়নি অনুমতি।
advertisement
আরও পড়ুন: পিত্জা-বার্গার ভালবাসেন? ৭০ টাকায় মস্ত পিৎজা, ৮০ টাকায় বার্গার! শহরের কোথায় আছে এই সেরা ঠিকানা?
চার্চ মোড় থেকে কলেজ মোড় এলাকা পর্যন্ত এই পুরো রাস্তাটি হল বাঁকুড়া শহরের প্রাণ শক্তি। বাঁকুড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলি যুক্ত হয় এই রাস্তার মাধ্যমেই। নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও অবস্থান করছে এই রাস্তার ধারেই। কালী পুজো উপলক্ষে এই কয়েকদিন রাস্তার চিত্র পাল্টে গেছে সম্পূর্ণ ভাবে। আলোর বন্যায় ধাঁধিয়ে যাচ্ছে চোখ। পথচারীদের দৃষ্টি আটকাতে বাধ্য হবে মণ্ডপে এবং আলোক সজ্জায়। তবে ইতিমধ্যেই শব্দ বাজি নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। এবার অনুমতি হলনা বাজি প্রদর্শনীর।
আরও পড়ুন: আলু দিয়ে মা তারার বিগ্রহ! নিজের শিল্প কর্ম দিয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন বাঁকুড়ার চৈতালী বিশ্বাস
ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে চিত্র। সচেতনতা বাড়ছে সাধারণের মধ্যে। উৎসব সকলের, তাই কারোর যাতে কোনোও সমস্যা না হয় এবং প্রকৃতি যাতে সুস্থ থাকে সে কথা ভেবেই শব্দ বাজি এবং কিছু বিশেষ বাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আলোর উৎসবে আলো দিয়েই বাজিমাত করার চেষ্টা করছে বাঁকুড়া।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী