মৃত সুজিত দাসের বাবা শশাঙ্ক শেখর দাস অভিযোগ করেছেন—
“বিদ্যুৎস্পৃষ্ট নয়, আমার ছেলেকে ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়।”
একই সঙ্গে মৃত সুধীর পাইকের পরিবারের পক্ষ থেকেও দাবি উঠেছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ গোপন করছে পুলিশ।
advertisement
বর্ষায় ঘরে-বাইরে কিলবিল করছে সাপ? দরজার সামনে ছিটিয়ে দিন এই ‘গুঁড়ো’! সুরক্ষিত থাকবে পরিবার ও সন্তান!
বনধের ডাক, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (১৫ জুলাই) খেজুরি বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। একাধিক অরাজনৈতিক সংগঠন এই বনধের ডাক দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান—
“দুজন নিরীহ মানুষকে খুন করা হয়েছে। অথচ সেটিকে দুর্ঘটনা বলে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে গণআন্দোলন হবে।”
তিনি আরও বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনা যাতে ‘দুর্ঘটনা’ বলে চালানো না যায়, তার জন্য আইনি পদক্ষেপ ও গণআন্দোলনে নামবে বিরোধী শিবির।
পরিবারের পাশে শুভেন্দু, নিহতদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা
রবিবার সকালে শুভেন্দু অধিকারী খেজুরির হেঁড়িয়া এলাকায় গিয়ে মৃত সুজিত দাস ও সুধীর পাইকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি বলেন—
“এই শোকের মুহূর্তে আমরা তাঁদের পাশে আছি। সরকার যেভাবে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছে, তা চলবে না।”
advertisement
ঘটনা ঘিরে এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে চরম উত্তেজনা। খেজুরি থানার সামনে স্থানীয় মানুষজনের জমায়েত, বিক্ষোভ এবং বনধের হুঁশিয়ারিতে সোমবার পরিস্থিতি কোনদিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার।
পুলিশের তরফে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।