বিয়ের দশ দিনের মাথায় রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত দেউলি এলাকায় মাঠের মধ্যে একটি গাছ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় যীশু হালদারের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত ফিল্ড কলোনি এলাকার বাসিন্দা যীশু হালদারের গত ২৭ মে বিয়ে হয়েছিল রঘুনাথগঞ্জের প্রতাপপুর এলাকার বাসিন্দা সরস্বতী হালদারের সঙ্গে। ২৮ মে বৌভাত হয়। ৩০ মে যীশু হালদার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অষ্টমঙ্গলা করতে যান। অষ্টমঙ্গলার পরের দিন অর্থাৎ শনিবার ভোর রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান যীশু, এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর সুন্দর শিল্প! দেখুন ডোকরার জটিল প্রক্রিয়া
এরপর দুই পরিবারের লোকজনই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পাশাপাশি রঘুনাথগঞ্জ থানাতে অভিযোগ দায়ের করা হয় পরিবারের তরফ থেকে। তার আট দিন পর শুক্রবার সকালে দেউলির মাঠের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে বিয়ের মাত্র ১০ দিনের মধ্যে ওই যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
মৃতের দিদি সর্বানী হালদার অভিযোগ করেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ থাকার পর আজকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। আমরা চাইব পুলিশ প্রকৃতভাবে তদন্ত করে দেখুক এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত। তবে বিবাহের দশ দিনের মাথায় এই জামাইয়ের দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রঘুনাথগঞ্জে।
কৌশিক অধিকারী