শিল্প নগরী হলদিয়া সহ জেলা জুড়ে বছরের পর বছর কেন কমছে বিশ্বকর্মা মূর্তির চাহিদা! এ বিষয়ে অনুসন্ধান করতে জানা যায়,শেষ কয়েক বছরে হলদিয়ায় অনেক পুরানো কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। সেভাবে নতুন করে কোনও বড় ফল কারখানা গড়ে ওঠেনি। ফলে বন্ধ হয়েছে অনেক অনুসারী ছোট ও ক্ষুদ্র কলকারখানা। আর কলকারখানা বন্ধ হওয়ায় বিশ্বকর্মা পুজোয় জৌলুস হারিয়েছে হলদিয়া। কমেছে আগের তুলনায় পুজোর সংখ্যা। ফলে বরাদ্ কমেছে প্রতিমা শিল্পীদের। আর এই কারণে অনেক প্রতিমা শিল্পী মূর্তি গড়ার কাজ বাদ দিয়ে অন্য পেশা গ্রহণ করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন : শুধু পাঠক্রমের শিক্ষাদান না, ছাত্র ছাত্রীদের সামাজিক শিক্ষাদানে শিক্ষারত্ন লাভ শিক্ষকের
এবারও বিশ্বকর্মা পুজোয় হলদিয়া সহ জেলার চিত্রটা বদলাল না। শেষ বছরে তুলনায় আরও কমল মূর্তি তৈরির বরাদ্দ। ফলে প্রতিমা শিল্পীদের কাছে সেভাবে মূর্তি তৈরির অর্ডার আসেনি। যে কটি অর্ডার প্রতিমা শিল্পীরা পেয়েছেন সেই মূর্তি তৈরি করতেও প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা সমস্যায় পড়েছে শিল্পীরা। থেকে থেকে রোদ ও বৃষ্টি মূর্তি তৈরিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। বিশ্বকর্মা পুজো যত এগিয়ে আসছে শিল্পীদের মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ততা তত বাড়ছে। তবে তারা আশাবাদী যে ক’টি মূর্তি তারা তৈরি করছেন তা পুজোর আগের দিন সম্পূর্ণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন : মানবিক রূপ কোলাঘাটের একটি সংস্থার, বিনাব্যয়ে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন কর্মশালা!
প্রতিমা শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় বছর বছর বিশ্বকর্মা মূর্তির তৈরিতে অর্ডার কম হওয়ায় তাদের আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। অনেকেই আবার মূর্তি গড়া ছেড়ে ভিন্ন পেশায় বেছে নিয়েছেন। এই চিত্র শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া নয়। জেলার সর্বত্রই।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মার পুজো উদ্যোগে কিছুটা ভাটা পড়েছে জেলায়।
সৈকত শী