মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ গাড়ির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর চব্বিশ পরগনার আশোকনগরের কামারপুর মোড়। স্থানীয়দের দাবি, গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলছিল পুলিশ। সেই সময়ে গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই লরি টাকা না দিয়ে পালাতে গিয়ে ধাক্কা মারে বাইকে। ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক আরোহী সইফুদ্দিন মণ্ডলের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিদিনই গাড়ি থামিয়ে টাকা তোলে পুলিশ।। এভাবেই প্রায়ই ঘটে যায় দুর্ঘটনা ।। এদিনের দুর্ঘটনার পর লরিটি আটক করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকে সইফুদ্দিনের দেহ। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। হাবড়া-নৈহাটি রোডে শুরু হয় অবরোধ। বারো কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে দফায় দফায় চলে অবরোধ। দু’ঘণ্টা পর পুলিশ এলে আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি।
advertisement
ভাঙচুর করা হয় পুলিশের দুটি গাড়ি ও একটি সরকারি বাস। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী। ফের পুলিশকে লক্ষ করে চলে ইটবৃষ্টি। অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পালটা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ।
বেলা ১১টা নাগাদ ফের হাবড়া-নৈহাটি রোডে অশোকনগর ও ঈশ্বরীগাছিতে জলের পাইপ ফেলে শুরু হয় অবরোধ।। দুপুর একটা নাগাদ পুলিশকর্তাদের আশ্বাসে প্রায় আট ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের ছাড়া না হলে ফের অবরোধের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয়রা।