এই বাড়িতে আজও নিত্য পূজিত হন অদ্বৈতাচার্যের সেবিত শালগ্রামশিলা এবং আরও অনেক দেবদেবী। বড় গোস্বামী বাড়ির পূর্বপুরুষ মথুরেশ গোস্বামী তাঁর পিতার কাছ থেকে শ্রীশ্রীরাধামদনমোহন, প্রভু সীতানাথ, সীতামাতা ও অচ্যুতানন্দের সেবাভার পেয়েছিলেন। মথুরেশ গোস্বামী বাংলাদেশের যশোহর থেকে এনেছিলেন শ্রীরাধারমণকে এবং সেই বিগ্রহ সেবা পান শান্তিপুরের বড়ো গোস্বামী বাড়িতে।
আরও পড়ুনঃ আলো আঁধারি পরিবেশে এক স্বপ্নময় আবহ! বর্ধমানের ‘মায়াজালে’ মন্ত্রমুগ্ধ আট থেকে আশি, দেখেছেন কি আপনি?
advertisement
এই রাধারমণ একবার বাড়ির মন্দির থেকে রহস্যজনক ভাবে উধাও হয়ে যায়। সেই বিগ্রহ ফিরে পেতেই বাড়ির মহিলারা ব্রত রাখলেন দেবী কাত্যায়নীর। কারণ বৃন্দাবনে গোপীরা যেমন কাত্যায়নীব্রত করে লীলাপুরুষোত্তমকে পেয়েছিলেন ঠিক তাঁদেরও তেমন বিশ্বাস ছিল যে তাঁরাও তাঁদের রাধারমণকে ফিরে পাবেন দেবীর ব্রতপূজা করলে। পুজোর সময় স্বপ্নাদেশে জানতে পারা গেল, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছেন রাধারমণ। তখন বড়ো গোস্বামী বাড়ির সদস্যরা তাঁকে নিয়ে আসেন। তাঁর পুজো আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছর ধরে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিয়ম অনুযায়ী মায়ের যখন প্রাণ বিসর্জন হয়ে যায় তখনই তাঁকে নিরঞ্জিত করা হয়, কারণ প্রাণ বিসর্জনের পরে দেবীকে আর গৃহে রাখার নিয়ম নেই। তাছাড়াও যতক্ষন না কাত্যায়নী মায়ের নিরঞ্জন হচ্ছে ততক্ষন তাদের বাড়ির প্রতিষ্ঠিত দেবতা রাধারমন জিউর ভোগ রান্না হয় না। তাদের বড় গোস্বামী বাড়িতে কোন উনুন জ্বলে না। দশমীর দিনই শান্তিপুরের রাস উৎসবের সূচনা হয় এবং মা আগমেশ্বরীর পাটে সিঁদুর দান করে কালীপুজোরও শুভ সূচনা হল এদিন থেকেই। চিরাচরিতভাবে তিন নম্বর রেলগেট সংলগ্ন বানকে বিসর্জন দেওয়া হয় কাত্যায়নী মাকে। সকলকে মিষ্টিমুখ করানোর ব্যবস্থাও থাকে প্রতিবছর।