যাত্রীবাহী বেসরকারি বাসটি বর্ধমান স্টেশন পার হতেই তিন যুবক ওই বাসে ওঠে। পরক্ষনেই বাজেপ্রতাপপুরের কাছে তারা নেমে যেতে সচেষ্ট হলে নিত্যযাত্রীরা অন্যদের সচেতন করে দেন। তখনই এক যুবক খেয়াল করেন তার পকেটে থাকা মোবাইল ফোনটি নেই। ওই তিন যুবকের পিছু পিছু নেমে পড়েন তিনিও। পকেটমার সন্দেহে একজনকে ধরেও ফেলেন। বাকি দু জন ততক্ষণে নিরাপদ দূরত্বে চম্পট দেয়। ধৃত যুবক পালানোর চেষ্টা করে। ওই যুবকের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে অভিযুক্তকে আটক করে। কয়েকজন মারধর শুরু করে। কিন্তু গণধোলাইয়ের বদলে শাস্তিস্বরূপ জাঁকিয়ে পড়ার শীতের সকালে তার গায়ে ঠান্ডা জল ঢালার সিদ্ধান্ত নেয় কয়েকজন। সেইমতো বালতি বালতি জল এনে মগে করে তার মাথায় গায়ে ঢালা হয়।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এলাকার বেশ কিছু যুবক ডেনড্রাইট সহ নানান মাদকে সারাক্ষণ নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকে। সেই নেশার খরচ জোগাড় করতেই তারা পকেটমারি সহ চুরি ছিনতাইয়ে হাত পাকায়। অভিযুক্ত যুবক নেশাচ্ছন্ন ছিল। তাই মারধর না করে তার গায়ে শীতের সকালে ঠান্ডা জল ঢালা হয়েছে।
ভাতারের বাসুদা গ্রামের বাসিন্দা প্রসাদ ঘোষ বলেন, স্টেশন পার হওয়ার পরই আমার পকেট থেকে মোবাইল ফোন তুলে নেওয়া হয়। ওই তিন যুবককে নেমে যেতে দেখেই আমার সন্দেহ হয়। আমিও তাদের সঙ্গে নেমে পড়ি। এক যুবককে ধরে ফেলি। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা তার কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এরপর চুরির শাস্তি স্বরূপ তার গায়ে ঠান্ডা জল ঢালা হয়।
Saradindu Ghosh