পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের এই জায়গায় একটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। যেখানে পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের সমাজের মূল স্রোতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে একটি শিক্ষাদান অর্থাৎ কোচিং সেন্টারের আয়োজন করেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ভগবানের পোষ্ট বক্স করা হয়েছে। তবে এটা শুনে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি।
advertisement
আরও পড়ুন: মানিকচকে তুলকালাম! ভাঙন রোধে কাজে এসে শ্রমিক-গ্রামবাসীদের হাতাহাতি, কেন ঘটল এমন ঘটনা? জানুন
তবে হ্যাঁ, সেই ভগবান কিন্তু মানুষ রূপী ভগবান। ফুড এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির কর্ণধার চন্দ্রশেখর কুন্ডু বলেন, “স্কুলছুট বন্ধ করতে এলাকার দুস্থ পরিবারের পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে একটি বিনামূল্যে কোচিং সেন্টারের আয়োজন করেছি। এখানে সেই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের মনের কথা অর্থাৎ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের কথা এই ভগবানের পোস্ট বক্সে জানাতে পারে। পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যার যেটা প্রয়োজন সেটা সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত বনসরাক ডিহি, জরুল ডিহি সহ কাঁচা গোরিয়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুট বন্ধ করতে একটি অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফুড এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি। তারা এলাকায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কোচিং সেন্টারের আয়োজন করেছে। কোচিং সেন্টারে তৈরি করা হয়েছে ভগবানের পোস্ট বক্স নামে একটি বাক্স।
সেই বাক্সে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজেদের মনের কথা, প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা লিখে ভরে দিলেই মিলছে সেই সুরাহা। ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করছে যে এটা হয়ত ভগবানই দিচ্ছে। কিন্তু আসল ভগবান না হলেও মানুষরূপী ভগবান এসে এই ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় ভাল রকম সাড়া পড়েছে এবং এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটিকে এলাকার মানুষ সাধুবাদ জানাচ্ছে।