ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শিশু শিক্ষা কেন্দ্র থাকলেও এই বিদ্যালয়কে গড়ে তোলা হয়েছে শিশু বান্ধব রূপে। স্বাভাবিকভাবে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও বেশি এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে শিশুসুলভ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। প্রায় ৭৫ বছর পার হওয়া পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি ব্লকের অরঙ্গাবাদ বিপিনবিহারী মেমোরিয়াল আংশিক বুনিয়াদী বিদ্যালয় সাজিয়ে গুছিয়ে তোলা হয়েছে সবুজ গাছ, দেওয়াল চিত্র এমনকি শিশু বান্ধব বিদ্যালয় হিসেবে। মিলেছে পুরস্কার। বিদ্যালয়ের চত্বরে সবুজ বাগান থেকে বিভিন্ন ধরনের দেওয়াল চিত্র। শিক্ষামূলক নানা জিনিসে গড়ে তোলা হয়েছে এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। কোথাও সহজ পাঠের নানা ছড়াকে তুলে ধরা হয়েছে, কোথাও তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন ঋতুর সিনারি। দুদিকে থাকা দুটি সিঁড়িতে বাংলা এবং ইংরেজি মাসের নাম। কোথাও ভারতের ম্যাপ, কোথাও আবার বিভিন্ন ছবি। ঠিক যেন গুগলের মত পরিষেবা।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিভাইডার টপকে অন্য লেনে গাড়ি…! দিঘা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, প্রাণ হারালেন ৪
এ তো গেল বাইরের দেওয়ালের কথা। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দের নানা ছবি আঁকা। স্বাভাবিকভাবে শুধু পড়াশোনা নয় ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক উন্নতিতে এবং তাদের সৃজনশীল ভাবনা-চিন্তার প্রতি আকৃষ্ট করতে এমন আয়োজন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এছাড়াও বিদ্যালয়ের একটি রুম উৎসর্গ করা হয়েছে চিত্রশিল্পী যামিনী রায়কে। দেওয়াল জুড়ে যামিনী রায়ের আঁকা নানা ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ভিতরে রয়েছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে তৈরি নানা ধরনের ছবি ও হাতের কাজ। প্রসঙ্গত বিদ্যালয়ে চত্বরকে শিশু বান্ধব গড়ে তোলার জন্য বেশ কয়েকবার রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে মিলেছে একাধিক পুরস্কার।
শুধু পাঠদান নয়, ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন সৃজনশীল শিক্ষা দেন শিক্ষকেরা। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছাড়িয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যালয়মুখি করতে এবং পড়াশুনা এবং বিদ্যালয়ের প্রতি ভীতি কাটাতে ছাত্র-ছাত্রীসুলভ করে তোলা হয়েছে এই বিদ্যালয়। যেখানে শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক মানোন্নয়ন হবে। বিদ্যালয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে খাদ্যমন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রীরা। স্বাভাবিকভাবে বিদ্যালয়ের প্রতি ভয় কাটাতে এবং স্কুল ছোট রোধে এই স্কুলের বিশেষ ভাবনা এবং সৃজনশীলতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ





