মূলত বেশ কয়েক দশক ধরে মকর সংক্রান্তির দিনে এই গ্রামে যে মেলা বসে যা ‘আলুর দমের মেলা’ হিসেবেই পরিচিত লাভ করেছে হুগলি জেলা সহ এই বাংলায়। অন্যদিকে এই মেলাকে সম্প্রীতির মেলবন্ধনের নিদর্শন হিসেবে ধরা হয় কারণ একদিকে চলে মুসলিম ধর্মালম্বীদের পীরের মেলা অন্যদিকে একই স্থানে আরাধনা করা হয় গঙ্গা দেবীর। এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দামোদর নদ আর মকর সংক্রান্তির দিনে বহু মানুষ দামোদর নদে পুণ্যস্নান সেরে এই মেলায় যোগদান করেন। পুণ্যস্নান সেরেই প্রথমে তারা খাবার হিসাবে গ্রহণ করেন আলুর দম দিয়ে মুড়ি এবং সেই আলু অবশ্যই সদ্য তোলা হয় জমি থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: যেমন স্বামী, তেমন স্ত্রী! দু’টাকার চিকিৎসকের স্ত্রী এবার হাসপাতালের জন্য দান করলেন নিজের বসতবাড়ি
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নতুন আলু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলুর দম তৈরি করে বিক্রি হয় মেলা প্রাঙ্গনে। এছাড়াও মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের দোকানও বসে কোথাও বেতের বোনা ধামাকুলোর দোকান তো কোথাও বাঁশের তৈরি ঝুড়ির দোকান তো কোথাও কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির দোকান আবার বাচ্চাদের মনোরঞ্জন করার জন্য বসেছে নাগরদোলা পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্টল অন্যদিকে বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন খেলার দোকান। একপ্রকার বলা যেতেই পারে যে এই মেলায় দুই ধর্মাবলম্বী মানুষের মিলনক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত হয়েছে দীর্ঘ দুই থেকে আড়াইশো বছর ধরে।
আরও পড়ুন: হুগলির ঘাটে ঘাটে সকাল থেকেই মকরের পুণ্য স্নানের ভিড়, দেখুন ভিডিও
মেলা উপলক্ষে প্রশাসনের তরফ থেকে সতর্কতা মূলক একধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবছর এই মেলার আয়ত্ত বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন দূর-দূরান্ত গ্রাম থেকে মানুষজন আসেন আলুর দমের মেলা উপভোগ করতে। মেলার মাঠেই করাতে তৈরি হয় আলুর দম। খুব অল্প দামে সেই আলুর দম বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। সেই আলুর দম কিনে সঙ্গে মুড়ি বা চপ দিয়ে শীতের দুপুরে রোদ পোয়াতে পোয়াতে মেলার উপভোগ করেন কয়েক লক্ষ মানুষ।
রাহী হালদার





