নিজের এলাকার পাশাপাশি কলকাতা শহরতলীতেও বিভিন্ন ওষুধের দোকানে তিনি এই থার্মোমিটার বিক্রি করতে থাকেন, একে ওই সময় থার্মোমিটারের বিপুল চাহিদা তার ওপর সাধারণ মার্কেটে থেকে কিছু টাকা কম থাকায় নিমিষেই তার থার্মোমিটার বিক্রি হয়ে যায়। এই থেকেই শুরু হয় তার ব্যবসার এবং মহান চিন্তা ভাবনার সূচনা। এরপর থেকেই একটি একটি করে চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়ান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: আর ঢুকতে পারবে না অনুপ্রবেশকারীরা! বাংলাদেশ সীমান্তে যা করল পুলিশ, এবার আর সাহস হবে না!
বর্তমানে তার এই সংস্থায় চিকিৎসা জনিত প্রায় সমস্ত ধরনের সরঞ্জামি খুবই স্বল্প মূল্যে পাইকারি ও খুচরো বিক্রি করে । তবে স্বল্প মূল্য বলে কোন অখ্যাত কোম্পানির প্রোডাক্ট কিন্তু নয়, সমস্ত সরঞ্জামি যথেষ্ট নামিদামি কোম্পানির। ফিজিওথেরাপির সরঞ্জাম, ক্রাচ, বিভিন্ন ধরনের বেল্ট, হুইল চেয়ার, ক্যাথিডার, নেবুলাইজার, প্রেসার মাপার যন্ত্র, কানে শোনার যন্ত্র, ব্লাইন্ড স্টিক, সুগার মাপার যন্ত্র, তুলো, গজ, সিরিঞ্জ, হসপিটাল বেড থেকে শুরু করে চিকিৎসাজনিত ছোট থেকে বড় সমস্ত কিছুই পাওয়া যায় এখানে সুলভ মূল্যে।
আরও পড়ুন: আমের টানে ভ্রমণ! কখনও শুনেছেন! অবাক করা হলেও ‘ভালবাসা এক্সপ্রেস’ এবারও এল নদিয়ায়
শুধু তাই নয়, তিনি সাহায্য করেন বিভিন্ন সদ্য স্কুল কলেজ পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাবলম্বী হতে সে ক্ষেত্রে তাদের পুঁজি যত কমই হোক না কেন। তিনি জানান তার এখান থেকে পাঁচ থেকে সাত হাজার টাকা দিয়ে চিকিৎসার বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম কিনে সেই সমস্ত বেকার যুবক-যুবতীরা বিক্রি করতে পারেন মার্কেটে। এমন কি বিক্রি করার ক্ষেত্রেও ভিডিও কলের মাধ্যমে দোকানদারকে ভরসা যোগাবেন তিনিই।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অনেক সময় অর্থের অভাবে ইচ্ছা থাকলেও উপায় হয় না তাদের জন্যও অমিত বাবুর সহযোগিতার হাত, কারণ হিসেবে বলেন ব্যবসাটা উপলক্ষ মাত্র আসল কারণ সমাজসেবা। নদীয়া জেলা এবং পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় হাসপাতাল নার্সিংহোম ঔষধের দোকান থেকে শুরু করে মেডিকেল সেলারদের অধিকাংশই অমিত বাবুর ক্রেতা সেই কারণে বিক্রি অবিশ্বাস্য তাই উপকরণ কিনতেও কারখানা মালিক কিংবা মহাজনদের সহযোগিতা পান যথেষ্ট, তাই কাজটা অনেক সহজ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
Mainak Debnath