পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি দাসপাড়া দিকে যাচ্ছিল, এবং মাদার মেরিনা মিশন স্কুলের পাঁচজন পড়ুয়া পুলকারে ছিল। তাদের বয়স ৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুটি গাড়ির রেষারেষি চলছিল এবং পুলকারের গতি ছিল যথেষ্ট বেশি। সেই সময় গাড়ির নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে চালক সরাসরি পাশের পুকুরে পড়েন।
নতুন শ্রম আইনে মহিলাদের কী কী লাভ হল অনেকেই জানেন না! নারীদের নতুন সুবিধাগুলো দেখে নিন
advertisement
আধুনিক, সুরক্ষিত এলএইচবি কোচ পাচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের ১০ জোড়া ট্রেন! কলকাতা থেকে কোনগুলো জানুন
দুর্ঘটনার পরই স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। যন্ত্রপাতি ছাড়াই হাত মিলিয়ে গাড়িটি টেনে তোলা হয়। পড়ুয়াদের জুতো, ব্যাগ— এখনও ছড়িয়ে রয়েছে ঘটনাস্থলে। পরে পুলিশ ও ডুবুরি দল পৌঁছে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়।হাসপাতালে তিন পড়ুয়ার মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। তিন শিশুর নাম— ইশিকা মণ্ডল (৭), সৌভিক দাস (১১) এবং আরিন দাস (৯)।
উলুবেড়িয়া থানার আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেছেন। গাড়ির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না, কিংবা অতিরিক্ত গতি ও রেষারেষিই দুর্ঘটনার কারণ কি না— তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্কুলপড়ুয়াদের যাতায়াতের জন্য বহু বাবা-মা পুলকারের ওপর ভরসা করেন। তবে সম্প্রতি শহর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রেষারেষি, বেপরোয়া গতি কিংবা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পুলকার দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে রাজ্য পুলিশেরও।
