‘ক্লাস্টার’ এবং একক ভিত্তিতে রাজ্যজুড়ে আরও ৬৮টি নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রক্রিয়া চলছে| বর্তমানে প্রতিদিন রাজ্যে প্রায় ৯,০০০ মেট্রিক টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়| সরকারি আধিকারিকদের দাবি, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে আগামী এক বছরের মধ্যেই প্রতিদিনের সমস্ত বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা সম্ভব হবে |প্রশাসন সূত্রে খবর, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে রাজ্যের ৬৯টি মহকুমার মধ্যে সেরা হয়েছে উলুবেড়িয়া|
advertisement
আরও পড়ুন: তোলপাড় ভারী বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তর, কী হবে দক্ষিণে? বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি কোন কোন জেলায়?
উলুবেড়িয়া মহকুমা সূত্রে খবর, এই মহকুমায় কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা, গ্রে-ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং শৌচালয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প এই তিনটি বিভাগে কাজ চলছে |ম্যানেজমেন্ট বিশেষ করে মল থেকে সার রূপান্তরিত করা এর প্রক্রিয়া| ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ৫৫ টি প্ল্যান্ট চালু রয়েছে এই মুহূর্তে|তার মধ্যে রাজ্যে প্রথম উলুবেড়িয়া মহকুমা| উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক মানস কুমার মণ্ডল বলেন, এটি একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টা| মহকুমার সমস্ত ব্লক আধিকারিক,পঞ্চায়েত কর্মী থেকে এই ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানাই| জেলাশাসক ও অন্যান্য পদাধিকারীরাও সহযোগিতা করেছেন|
আরও পড়ুন: স্কুল ছুটিতেই গঙ্গায় বিপদ! প্রাণ গেল বছর বারোর ছাত্রের, পানিহাটিতে চাঞ্চল্য
আমতা ২ নম্বর ব্লকে রাজ্যের মধ্যে প্রথম শৌচালয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প তৈরি হয়েছে| শ্যামপুর ১ নম্বর ব্লকেও এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে| এছাড়াও বিভিন্ন ব্লকে প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের কাজ চলছে| সব মিলিয়ে গোটা মহকুমায় কঠিন বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের কাজ জোরকদমে চলছে| বর্তমানে রাজ্যে প্রায় ২,৫০০টি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র তৈরি হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২,০০০টি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে| বাকিগুলিও দ্রুত চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে| এই কেন্দ্রগুলির কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে যাঁরা সেগুলি পরিচালনা করবেন, তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে|






