মৃত ও অসুস্থরা পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বগপুর পঞ্চায়েতের কংসারিপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রাম থেকে ১৪ জন শ্রমিক অন্ধ্র প্রদেশে ধান রোয়ার কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের অনেকেই পেটের অসুখে আক্রান্ত হন। নানান উপসর্গ নিয়ে দু' জনকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অসুস্থতা বাড়তে থাকায় সম্প্রতি পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি ফিরে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অ্যাকাউন্টে আবাস যোজনার টাকা? এবার মিলবে 'কড়া' শাস্তি
দিন পাঁচেক আগে পেটের সমস্যার উপসর্গ নিয়ে সুকুমার মাজি ভর্তি হন কালনা মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতালের পথেই মৃত্যু হয় পরিযায়ী শ্রমিকের। একই উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার ভোরে খোকন মাজি নামে আরও একজনের মৃত্যু হয় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে।
পর পর দুই শ্রমিকের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কংসারি গ্রামে। ভিন রাজ্য থেকে ফেরা বাকি শ্রমিকদের শারীরিক পরিস্থিতি দেখতে গ্রামে যান পূর্বস্থলী ১ ব্লকের বিএমওএইচ নওমান শেখ ও স্বাস্থ্য দফতরের একটি দল। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তাঁদের কিছু ওষুধ দেন তাঁরা। এলাকায় পৌঁছয় নাদনঘাট থানার পুলিশও। যদিও চিকিৎসকরা জানান, খাবারের সমস্যা থেকে অসুস্থ হয়েছেন সবাই। বাড়িতে এসেও কয়েকজনের পেট ব্যথা ও বমি কমছিল না।
আরও পড়ুন: 'আমি ভোট না পেলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও নবান্নে বসবেন না!' দাবি তৃণমূল বিধায়কের
রবিবার সকালে সুকুমার মাজি নামে একজনের অবস্থা খারাপ হতে থাকায় পরিবারের লোকেরা কালনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্ধমান নিয়ে যাওয়ার পথে রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিকে সোমবার সন্ধ্যায় খোকন মাজি নামে আরও একজনের অবস্থার অবনতি হয়। তাঁকে উলুরেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতেই তাঁরও মৃত্যু হয়।
পূর্বস্থলী (১)-এর বিএমওএইচ মহম্মদ নওমান শেখ বলেন, 'সবাই বাইরে থেকে অসুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরেছেন। আশা কর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মেডিক্য়াল টিম নিয়ে গ্রামে গিয়েছিলাম। বাকিদের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছি। কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীরা সব সময় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। খাবারের বিষক্রিয়ার জন্যই এমন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।'