বর্ধমান খাজা আনোয়ার বেড় এলাকার বাসিন্দা বর্ধমান মিনিউসিপাল হাই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র শৌর্যদীপ দত্ত এবং খাজা আনোয়ার বেড় মধুমিতা বিদ্যামন্দিরের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র স্বপ্নদীপ দত্ত। দুই ভাই জ্যাঠা স্বপন দত্তের কাছে আঁকা শেখে। তাদের জ্যাঠাই তাদের অনুপ্রেরণা।
advertisement
মাঝে মাঝেই জ্যাঠাকে দেখে ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে আর তার দেখে তারাও ভাবতে শুরু করে আমরাও কিছু বানাবো। এরপরই যেমন ভাবা তেমন কাজ ।রাস্তায় ফেলে দেওয়া পেটি ও কাগজের বাক্স জোগাড় করে শুরু করে দুর্গা প্রতিমা বানানো। তিন মাসের প্রচেষ্ট এই প্রতিমা বানিয়েছেন তারা। তবেই প্রথম না এর আগেও জগন্নাথ দেবের মূর্তি তৈরি করেছিলেন।
শৌর্যদীপ ও স্বপ্নদ্বীপ জানায়, তাদের জেঠু স্বপন দত্তর কাছে আঁকা শিখতে গিয়ে দুর্গাপ্রতিমা তৈরির বিষয়টি মাথায় আসে। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। পড়ে থাকা কাগজের বাক্স জোগাড় করে সেগুলো কেটে তার উপরে দুর্গার ছবি আঁকে। পরে সেই ছবি কেটে রং করেছে। কাগজের বাক্স ছাড়া সম্পূর্ণ প্রতিমার রূপ দিতে পাটকাঠি, তুলো ও নারকেলের ছোবড়া ব্যবহার করেছে তারা।
বাবা মলয় দত্ত জানান, ‘‘প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কী বানাচ্ছে।পরে আমাকে বলে কয়েকটা রং এনে দেওয়ার জন্য। পরে দেখি মা দুর্গার মুর্তি বানাচ্ছে। এতে আমি খুব আপ্লুত। মনে হচ্ছে বাড়িতে মা দুর্গা চলে এসেছেন।’’ তিনি আরও জানান, ‘‘আমরা আমাদের মত করে বাড়িতেই পুজো করব এই প্রতিমার।’’
শৌর্যদীপ ও স্বপ্নদীপের সৃজনশীলতা এবং নিষ্ঠা প্রমাণ করে যে, যথাযথ অনুপ্রেরণা ও সামান্য চেষ্টায় আবর্জনাও শিল্পকর্মে রূপান্তরিত হতে পারে। তাদের এই কাজ শুধু নিজেদের পরিবারের জন্য আনন্দের নয়,বরং স্থানীয় মানুষদের মধ্যেও এক নতুন চিন্তার উন্মোচন করেছে।





