এই হোমে ৮৫ জন ছাত্রছাত্রী আছে। এর মধ্যে ৩৬ জন মেয়ে। ৪ বছর থেকে ১৬ বছর পর্যন্ত মেয়েরা এখানে থাকতে পারে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই আবাসিক মেয়েদের উপর যৌন নির্যাতন চালাত প্রধান শিক্ষক বার্ক। তাঁকে এই কাজে সহযোগিতা করতেন তার সহকারী শিক্ষিকা দীপু সরকার। দীপুই প্রতিদিন তিন চার জন করে ছাত্রীকে বার্কের ঘরে পাঠাতেন। এমনটাই অভিযোগ আবাসিক ছাত্রীদের। বাইরের কাউকে জানালে তাদের হোম থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও ভয় দেখানো হত । ২-১ জন প্রতিবাদ করলে তাদের কপালে জুটত মারধর।
advertisement
আরও পড়ুন: কোচবিহারে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল গাড়ি, মৃত শিশু-সহ ৭
তাই ঘটনার কথা ভয়ে কাউকে বলতে পারেনি ওই ছাত্রীরা। কিন্তু দিনের পর দিন বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা ৷ এরপরেই স্কুল কর্তৃপক্ষকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে নির্যাতিতা ছাত্রীরা ৷ স্কুলের তরফে খবর দেওয়া হয় নৈহাটি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রীদের কথা শুনে জে কে বার্ক ও দীপুকে গ্রেফতার করে। ওই আবাসনের এক শিক্ষিকা কৃষ্ণা পান বলেন আমি যখন বুঝতে পারি এখানে একটা বাজে কাজ হচ্ছে, তখন আমিই ছাত্রীদের বিষয়টি স্কুলে জানাতে বলি।
ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তবে আবাসিকদের মন থেকে আতঙ্ক যাচ্ছে না।