শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে নদীর সঙ্গে মৌতাতে মেতে উঠতে শহুরে ভ্রমণ পিপাসুদের গেঁওখালি। নদী থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে রাতযাপনের আনন্দ বরাবরই মন কেড়েছে পর্যটকদের। এবার গেঁওখালির মুকুটে নয়া পালক। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের উদ্যোগে গেঁওখালিতে গড়ে উঠছে ‘ত্রিস্রোতা।’
advertisement
মূলত হুগলি, হলদি ও রূপনারায়ণ নদীর সংযোগস্থলে গেঁওখালির পর্যটন কেন্দ্র। যাকে ত্রিবেণী সঙ্গম বলা হয়। পাশেই ত্রিবেণী নামের রয়েছে সুসজ্জিত একটি রিসর্ট। ছুটির মরশুম হলে পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ত্রিবেণী। তাই হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের তরফ থেকে পাশেই এই ত্রিস্রোতার পরিকল্পনা করা হয়। মোট ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ত্রিস্রোতা এখন পর্যটকদের জন্য নিজের দুয়ার খুলে দিতে প্রস্তুত। বাইরে রয়েছে তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থাও। করা যাবে বন ফায়ার। নদীর মাছ কিনে নিজেরাই বানাতে পারবেন রকমারি পদ। এছাড়াও পাশের একটি ৬ একরের পুকুর সংস্কার করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সেখানেই বোটিংও চালু হবে খুব শীঘ্রই। মাত্র কয়েক হাত দূরেই রয়েছে বিশেষ উদ্যান।
আরও পড়ুন: হাতে আর ২৪ ঘণ্টা! নিম্নচাপ পরিণত হবে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে? ফেনজালের কোথায় কেমন প্রভাব পড়বে?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে চালু হয়ে যাবে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের বিশেষ এই লাক্সারি রিসর্ট। এই লাক্সারি রিসর্টে রয়েছে মোট ৮টি রুম। রয়েছে কনফারেন্স রুমও। অফিস কিংবা কোনও প্রতিষ্ঠানের মিটিং কিংবা পিকনিক করা যাবে এখানে। ২০০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই রুমের ভাড়া। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর জানান, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জেলা সফরে এলেই ত্রিস্রোতা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। আগামী দিনে ত্রিস্রতাকে কেন্দ্র করে আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলি নিয়ে একটি ট্যুর প্যাকেজ করার ভাবনা রয়েছে। এতে পর্যটকদের মধ্যেও আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে আরও। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকেই বুক করা যাবে সমস্ত রুম।”
আগামী দিনে গেঁওখালিতে আগত পর্যটকদের নিয়ে ট্যুর প্যাকেজ করার পরিকল্পনা রয়েছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের। স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী মহিষাদল রাজবাড়ি, তমলুক রাজবাড়ি, গেঁওখালির খ্রিস্টান পল্লী ও হলদিয়া বন্দর নিয়ে এই ট্যুর প্যাকেজের পরিকল্পনা চলছে। এর ফলে পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে কয়েক বছর আগেই পর্যটন কেন্দ্র গেঁওখালিতে রাস্তায় আলো বসিয়ে আলোকিত করা হয়েছে গোটা এলাকা। ফলে রাত্রি পর্যন্ত নদির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা।