পরিবারের লোকজনই প্রথম তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পার্টি অফিসের ভিতরে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে, আজই হবে ময়নাতদন্ত।
মৃত কাউন্সিলরের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের ওপর অনেক দেনার চাপ ছিল। মাত্র দু’দিন আগেই তিনি ছেলেকে দেড় লাখ টাকা দিয়েছিলেন পাওনাদারদের চাপে। প্রায়শই বিভিন্ন পাওনাদার বাড়িতে এসে চাপ সৃষ্টি করত।
advertisement
স্বামী টয়লেটে গেলে স্ত্রী হাতে পেলেন মোবাইল ফোন, ‘আনলকড’…! তার পর যা দেখলেন, পরিণতি হল মারাত্মক!
বোর্ডের পরীক্ষায় ৬০% নম্বর পেল ছেলে! CBSE ‘রেজাল্ট’ বেরোতেই যা করলেন বাবা…দেখলে হতবাক হবেন!
গোল, ছোট, নাকি টানা টানা? চোখ দেখেই বুঝবেন কে, কেমন মানুষ…! মিলিয়ে নিন বৈশিষ্ট্যগুলো
ঘটনা নিয়ে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিজেপি বিধায়ক অভিযোগ করেছেন, “বাজার থেকে বহু টাকা তুলেছিলেন রাকেশবাবু। নানান প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাপের মুখে পড়েছিলেন। দলের উচিত ছিল বিষয়টি নজরে রাখা।”
এই মন্তব্য খারিজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের পাল্টা দাবি— “বিজেপি সব সময় যে কোনও মৃত্যু নিয়েই রাজনীতি করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”
এই মৃত্যুর পেছনে সত্যিই আর্থিক চাপ ও পাওনাদারদের ভূমিকা রয়েছে কিনা, নাকি অন্য কোনও কারণ, তা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও পুলিশি তদন্তের ওপর।
এমন একটি অকালমৃত্যু কেবল রাজনৈতিক মহলে নয়, সাধারণ মানুষের মনেও রেখে যাচ্ছে একরাশ প্রশ্ন। দলীয় কার্যালয়ে এক জনপ্রতিনিধির এমন পরিণতি—সত্যিই কি শুধুই দেনার চাপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত? নাকি রয়েছে আরও কোনও অজানা অধ্যায়?