২০১৭ সালে হলদিয়া পুরসভার ভোটে সব আসনেই জয় লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও ২০২০ সালের পর থেকে বদলাতে শুরু করে পরিস্থিতি। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হোক বা শিল্পাঞ্চল তা দেখার দায়িত্ব ছিল শুভেন্দু অধিকারীর হাতে। শুভেন্দু দলবদল করতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে হলদিয়ার তৃণমূল সংগঠন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের জন্য গুরুত্বহীন নয় কিছুই, এক পদক্ষেপেই বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
২০২১ সালে হলদিয়া বিধানসভা আসন ছিনিয়ে নেয় বিজেপি শিবির। পুর ওয়ার্ড ভিত্তিক হিসাব করলে দেখা যায়, হলদিয়া পুরসভার যে ২৯টা ওয়ার্ডে এক সময় জোড়া ফুলের আধিপত্য ছিল, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট ভিত্তিক ফলের হিসাবে তার ২৬টি-ই হয়ে যায় বিজেপির। তৃণমূলের ভাঁড়াড়ে পড়ে থাকে মাত্র ৩টি ওয়ার্ড।
এই অবস্থায় হলদিয়া এখন তৃণমূলের কাছে কড়া ঠাঁই। তাই, হলদিয়া পুরভোটে বিশেষ নজর দিচ্ছে মমতা-অভিষেকের দল। ইতিমধ্যেই তমলুক সাংগঠনিক জেলায় বেশ কিছু বদল আনা হয়েছে। হলদিয়া সংগঠনেও এসেছে বদল। প্রসঙ্গত, গত বছর ২৮ মে হলদিয়ায় সভা করেছিলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। শ্রমিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কার্যত হুশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন দলের একাংশের নেতাদের ভূমিকা নিয়েও। শেষমেষ সংগঠনের নেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে হলদিয়া পুনরুদ্ধার করতেই হবে তাদের।
আরও পড়ুন: 'দোস্তি, আবার কুস্তিও', বাম-কংগ্রেসের 'মুখোশ' খুলে ফেললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সূত্রের খবর, হলদিয়া পুর ভোটে একেবারে নতুন মুখকে সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে জোড়া ফুল শিবির। বুথ ভিত্তিক প্রচারের দলও তৈরি হয়ে গেছে। এই দলের সদস্যেরাই বিভিন্ন জায়গায় দলের হয়ে প্রচারকাজ চালাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, "আমাদের লক্ষ্য পুরভোটে ২৯-০ করা৷ সংগঠনের কাজ সেভাবেই শুরু করা হচ্ছে। আমরা বুথ ধরে ধরে পরিকল্পনা করে এগবো।"
যদিও তৃণমূল কংগ্রসের এই কথার গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পাল্টা কটাক্ষ, "ওঁরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। শিল্পাঞ্চলে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এলাকার উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। মানুষ তা মনে রাখবেন। তবে ভোটে যা অশান্তি ওঁরা করেন তাতে ওঁরা ২৯ আসনে ৩০-ও পেতে পারেন।"