রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই তিন জেলায় দারুণ ফল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফল আশানুরূপ হয়নি ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ৷ তখন থেকেই পদ্ম শিবির জোর দিতে শুরু করে জঙ্গলমহলের এই সব স্থানে। যদিও লোকসভা নির্বাচনের পরে দু'বছর সংগঠন মজবুত করতে নামে জোড়া ফুল শিবির।একেবারে ভেঙে পড়া জঙ্গলমহলের জেলাগুলি থেকে বিধানসভায় একাধিক আসন বার করে নেয় তারা। যদিও দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন তাতেও রাজনৈতিক ভাবে তাদের কঠিন লড়াই লড়তে হচ্ছে।
advertisement
এই অবস্থায় আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তার পরে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছে বাংলার শাসক দল। এই সাংগঠনিক বৈঠকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, দলের কাজ করতে হবে ৷ ব্যক্তিস্বার্থের জন্য কোনও কাজ করা যাবে না। কে কী কাজ করছে তার পূঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট যে দল পাচ্ছে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু নিজের দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকা। আর সব কাজ হয়ে গিয়েছে এটা বলা যাবে না। প্রতিটি স্থানে নিজেদের যেতে হবে। বুথ ভিত্তিক অসুবিধা কোথায় কোথায় হচ্ছে তা জানতে হবে। কাজ করে যেতে হবে।
আরও পড়ুন- পার্থর ২০১ ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর রিক্সাচালক-দিনমজুর! সব রহস্য ফাঁস করলেন অর্পিতা
এক্ষেত্রে দল যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির দিকে জোর দিচ্ছে সেই বিষয়ে আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। পুরুলিয়া জেলায় সভা করতে গিয়ে বারবার এই বিষয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার সভাতেও একই বক্তব্য ছিল তাঁর। বুথ স্তর পর্যন্ত নেতাদের পৌঁছে যাওয়ার জন্য রাস্তায় নামার কথা বলেছিলেন তিনি। এর মধ্যে দলের নজরে সবচেয়ে বেশি করে আছে পুরুলিয়া জেলা। তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে এই জেলায় ব্যাপক কাজ করা হলেও ভোটের ফল আশানুরূপ নয় ৷ তাই এই জেলায় বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বর তরফে। এ ছাড়া আগামী দিনে যাতে রাজ্যের একাধিক উন্নয়নের বিষয় নিয়ে প্রচারে নেমে পড়তে পারা যায় সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক ভাবে বিজেপি বিরোধিতায় একাধিক ইস্যু নিয়েও রাস্তায় নামতে বলা হয়েছে জঙ্গলমহলের নেতৃত্বকে।