ইতিহাস বলছে, কানাডিয়ান লেখক এলান মরিনিসের একটি বই থেকে ত্রিবেণী কুম্ভের কথা জানা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন পুরাণে ত্রিবেণীর নাম পাওয়া গিয়েছে। ত্রিবেণী ধাম সংলগ্ন সাতটি গ্রামও তীর্থভূমি। যেগুলি হল, বাসুদেবপুর, বাঁশবেড়িয়া, নিত্যানন্দপুর, কৃষ্ণপুর, দেবানন্দপুর, শিবপুর ও বলদঘাটিতে তাদের আশ্রম তৈরি করেছিলেন। তাই এর নাম হয় সপ্তগ্রাম। সেই সপ্তগ্রাম বাণিজ্য বন্দর থাকাকালীন এই স্থানের জনপ্রিয়তা বাড়ে। যদিও পরবর্তী কালে বিদেশি আক্রমণে এর মাহাত্ম্য কমে যায়। কিন্তু মাঘ সংক্রান্তিতে বহু মানুষ ত্রিবেণীতে স্নান করেন। মেলা কমিটির চিফ পেট্রন কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ত্রিবেণীতে একদিনের কুম্ভ মহোৎসব হবে।তবে আগামী দিনে বড় আকারে কুম্ভের আয়োজন হবে।’’
advertisement
বরাহনগর আমলবাজার মঠের স্বামী সারদাত্মা নন্দ বলেন, ত্রিবেণী প্রাচীন তীর্থক্ষেত্র। পরাধীনতার গ্লানিতে তার স্বকীয়তা হারিয়েছিলাম আমরা।সেটা পুনরুদ্ধার এবং পুনর্জাগরণ করার জন্য গত তিন বছরের মতো এ বছরও কুম্ভমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি হবে সেই মেলা।সাধুসন্তরা আসবেন।বহু মানুষের উপস্থিতি হবে।আমরা চাইছি এই মেলাকে হেরিটেজ রূপ দিতে।
প্রয়াগরাজে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটা যাতে না হয় তার জন্য প্রশাসন সব রকম ব্যবস্থা করবে আশা করি।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়ার্ধে মেলায় ভিড় জমাবে সাধু সন্তরা। নাগা সাধুর পাশাপাশি দেশ বিদেশের সাধুরা উপস্থিত থাকবেন। হোমকুণ্ডে যজ্ঞ এবং ধর্ম সম্মেলন হবে। পরদিন নগর কীর্তনের পর হবে অমৃতস্নান। ভান্ডারা দেওয়া হবে সাধুসন্তদের। হবে ধর্ম আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু।সেই সময় কুম্ভ মেলা হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য মেলার চারপাশে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে পাঁচটি স্কুলে পরীক্ষার কেন্দ্র করা হচ্ছে না।
গত বছর মেলার অনুমতি নিয়ে টালবাহানা হয়েছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায়।এবার প্রশাসনও আগে থেকেই তৎপর। বুধবারই জেলাশাসক দফতরে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।সেখানে মন্ত্রী, বিধায়ক, পুলিশ সুপার থেকে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, ‘‘প্রয়াগের অভিজ্ঞতা থেকে ত্রিবেণী কুম্ভের জন্য সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।পুণ্যার্থীরা যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারেন তার দিকে নজর দেওয়া হবে।’’