বাঁকুড়ার শুশুনিয়ার শিউলিবোনা গ্রাম। এখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ মানুষ বনজ সম্পদের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছেন। শুকনো কাঠ সংগ্রহের পাশাপাশি জঙ্গলের কাঁচা শালপাতা তুলে তা সেলাই করে বাজারে বিক্রি করাই এঁদের মূল পেশা।
advertisement
এত কষ্টের মধ্যেও কিছুটা খুশির খবর হল, আগের থেকে চাহিদা বেড়েছে শালপাতার থালার। ফলে আবারও যেন পুনর্জীবিত হয়েছে এই পেশা। লকডাউনের সময় একেবারেই বিক্রি হচ্ছিল না শাল পাতা। তাতে চরম সঙ্কটে পড়ে গিয়েছিলেন আদিবাসী মানুষজন। তবে থার্মোকলের থালার চাহিদা কমায় শালপাতার থালার বিক্রি আবার বাড়ছে।
এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্যরা বিকল্প জীবিকার অভাবেই জঙ্গল থেকে শালপাতা সংগ্রহ করাকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন। শাল পাতা কুড়িয়ে, পাতা বেঁধে থালা তৈরি করে কোনওরকমে তাঁরা টিকে আছেন।
কাঁচা শাল পাতাকে ব্যবহার করে থালা বানানো ছাড়াও অন্যান্য ব্যবহার রয়েছে শালপাতার। পাতা ঝরার মরশুমে শালপাতা সংগ্রহ করে রেখে দেন আদিবাসীরা। যা বর্ষার সময় জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগে।
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন আবার অনেকে এই পাতা সংগ্রহ করে তা বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসের দিকে বাজারজাত করেন। তাতে এখনকার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ মূল্যে বিক্রি হয়, ফলে লাভ হয় বেশি।ছবি ও তথ্য- নীলাঞ্জন ব্যানার্জী