এলাকার মানুষকে শিক্ষার অঙ্গনে নিয়ে আসা, তাদের স্বনির্ভর করে তোলা এবং গোটা গ্রামে আদিবাসী সংস্কৃতিকে নতুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছে এই যুব প্রজন্মের তৈরি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি। যা মানুষের কাছে ভ্রমণের নতুন ডেসটিনেশন। শীতের শুরু, নতুন নতুন জায়গা ঘুরতে যেতে বহু মানুষ পছন্দ করেন। তাদের কাছে সেরা ঠিকানা সবুজে ঘেরা এই ছোট্ট গ্রাম। রয়েছে ধামসা মাদলের শব্দ, দেওয়াল জুড়ে নানান ছবি আঁকা। একদিনে ঘুরে দেখার সেরা ঠিকানা এই জায়গা।
advertisement
আরও পড়ুন- অধ্যাপকের সঙ্গে লিফটে ‘একা’, নেমেই প্রাণপণ ছুট ছাত্রীর! কী হল তাঁর সঙ্গে…শিউরে উঠবেন!
মেদিনীপুর সদর থেকে সামান্য কিছুটা দূরে এমন সুন্দর একটি ছবির গ্রাম।হয়তসবাই ঝাড়গ্রামের খোয়াবগাঁ গিয়েছেন, তবে এখানে সাজিয়ে তোলা হয়েছে ‘পলাশগাঁ’। গ্রামের চারিদিক দু হাজার পলাশ গাছে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের ভিতর প্রতিটি মাটির বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের রং দিয়ে সাজিয়ে তুলেছে এই সংস্থাটি। আদিবাসী সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি ঘরে। শুধু তাই নয়, গ্রামীণ এলাকায় কচি কাচাদের মধ্যে নানান গঠনমূলক শিক্ষার প্রচার ঘটাতে শুরু হয়েছে অঙ্কুর পাঠশালা। গ্রামীণ মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও স্বনির্ভর করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এই সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন- বোঁচা না চোখা? নাকই বলে দেবে কে কেমন ‘মানুষ’…! মিলিয়ে দেখে নিন যারটা জানতে চান
তবে চারিদিকের পরিবেশ ঠিক যেন ছবির গ্রাম। লাল হলুদ নীল বিভিন্ন নকশায় আঁকা নানা ছবি। গ্রামের চারপাশে মোড়া সবুজ শাল গাছে। ঠান্ডা, শীতল আবহাওয়ার সঙ্গে এত দুর্দান্ত এক অ্যাম্বিয়েন্স আপনাকে আনন্দ দেবে। ঝাড়গ্রাম এর ছোট্ট আদর্শ গাঁয়ের আদলে মেদিনীপুর সদর ব্লকে এমন সুন্দর একটি গ্রাম। মেদিনীপুর সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গুড়গুড়িপালের ভাদুলিয়া গ্রামকে আদর্শ পলাশগাঁ এ পরিণত করেছে এই সংস্থা।
স্বাভাবিকভাবে আগামী দিনে এই গ্রামের সুখ্যাতি বাড়বে, বাড়বে পর্যটকদের আনাগোনা। উন্নতি হবে সামাজিক প্রেক্ষাপট। বাড়বে মানুষের রুটি রুজি, স্বাভাবিকভাবে প্রকৃতির কোলে অনন্য সুন্দর এই গ্রাম, ঘুরে দেখুন একদিনে।
রঞ্জন চন্দ