প্রতিযোগিতায় লক্ষ্যবস্তু হিসেবে রাখা হয় একটি কলা গাছ। জমির একপাশ থেকে সেই কলা গাছে তির ছুঁড়ে লক্ষ্যভেদ করতে হয়। সঠিক নিশানা করতে পারলেই মিলবে পুরস্কার।
কালনার শিকারপুরে পৌষ সংক্রান্তি ও মাঘের শুরুতে আদিবাসীদের ঝাপান উৎসব হয়। সেই উপলক্ষ্যে এলাকায় মেলা বসে। এলাকার বাসিন্দারা তো বটেই, দূর দূরান্ত থেকে আদিবাসী পুরুষ মহিলারা সেই উৎসবে যোগ দিতে আসেন।
advertisement
আরও পড়ুন, হাড়হিম কাণ্ড! ৮ বছরের কিশোরকে টেনে নিয়ে গেল কুমির, পরের ঘটনা মারাত্মক
উৎসব উপলক্ষে আদিবাসী বাড়িতে বাড়িতে আত্মীয় পরিজনরা ভিড় করেন। বিভিন্ন রকমের পদের রান্না হয়। সেই ঝাপান উৎসবেরই অন্যতম আকর্ষণ তির ছোঁড়া প্রতিযোগিতা। এক, দু বছর ধরে নয়, যুগ যুগ ধরে আদিবাসী সমাজের এই রীতি চলে আসছে।
আরও পড়ুন, কীসের ভয়? কোনও দলই প্রচারে পা রাখেনি গুজরাতের এই গ্রামে, কারণ অবাক করার মতো
ইতিহাস সচেতন স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, এই এলাকায় আদিবাসীদের আদি বাসস্থান ছিল জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। জীবন সংগ্রামের প্রয়োজনে পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরও শিকারে যেতে হতো। জঙ্গলের হিংস্র জন্তুদের সঙ্গে সকলকেই পাল্লা দিয়ে সমানে সমানে লড়াই করতে হত। তখন থেকেই মহিলারা অস্ত্র শিক্ষায় পারদর্শী ছিলেন। সেই থেকেই এই প্রতিযোগিতার শুরু। তার পর থেকে যুগ যুগ ধরে এই প্রতিযোগিতা চলে আসছে।