আরও পড়ুনঃ রাস্তার বেহাল দশা! সাইকেল নিয়ে লরির চাকার সামনে পড়লেন যুবক, সকালে বাজার করতে গিয়ে আর ফেরা হল না বাড়ি
বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আদালতের নির্দেশে অভিযুক্ত অথবা দোষীদের পাঠানো হয় জেলা সংশোধনাগারে। সেখানে তাদের সংশোধন করে তোলার চেষ্টা করা হয়। হয়তো তারা অপরাধ করে ফেলেছেন কিন্তু তাদের মধ্যেও রয়েছে কোন কিছু কাজ করার অদম্য ইচ্ছা। মনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভালবাসা। তাই কেউ পড়তে ভালবাসেন, কেউ আবার ছবি আঁকতে ভালবাসেন, কেউ গান গাইতে ভালবাসেন। এই ইচ্ছাগুলোকেই সুযোগে পরিণত করে আবাসিকদের আগামীদিনে ভাল মানুষ তৈরি করার চেষ্টা করে চলেছে আসানসোল জেলা সংশোধনাগার।
advertisement
আসানসোল জেলা সংশোধনাগারের সুপার চান্দ্রেয়ী হাইত বলেন, “অনেকেই দেখলাম যারা নিরক্ষর একেবারেই লিখতে, পড়তে জানেন না। আমরা একটা উদ্যোগ নিলাম, তাদের নিরক্ষরতা দূর করার। ধীরে ধীরে দেখা যায় তাদের আগ্রহটা আরও বাড়তে থাকে এবং তারা বলেন, আরও শিখতে চাই, পড়তে চাই। এখানে যারা নিরক্ষর থেকে স্বাক্ষর হয়েছে তারা অল্প অল্প করে বই পড়ছে। আর বাকিরা পড়াশোনা জানেন। কেউ স্নাতক, কেউ উচ্চ মাধ্যমিক, কেউ মাধ্যমিক পাস। আমরা যখন লাইব্রেরীর সঙ্গে সহযোগিতা করে বিভিন্ন বইগুলি নিয়ে আসছি, দেখিছি তারা বইগুলি পড়ছে এবং নিয়ম করে বইগুলি আবার ফেরতও দিচ্ছে”।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আসানসোল জেলা সংশোধনাগারে কুড়ি বছর বয়স থেকে বিভিন্ন বয়সের পুরুষ এবং মহিলা মিলিয়ে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ জন আবাসিক রয়েছে। বর্তমানে তাদের মধ্যে অনেকের বই পড়ার প্রবণতা বেড়েছে। জেলা গ্রন্থাগার থেকে প্রথমে ১৫টি বই দিয়ে শুরু করা হয় এরপর আবাসিকদের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা বাড়তে থাকলে বই বাড়িয়ে ২১টি করা হয়। বর্তমানে আরও ৩০টি বই বাড়ানোর জন্য জেলা গ্রন্থাগারের কাছে অনুরোধ জানান হয়েছে। এই বই পড়ার ফলে আবাসিকদের মধ্যে শুভ চিন্তার বিকাশ ঘটবে এবং আগামীতে তাদের পথ সুগম হবে।