এই উদ্যোগটি নিয়েছেন পরিবেশ সুরক্ষার জন্য। এর মাধ্যমে সবুজায়ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন| এমন উদ্যোগ দেশে এই প্রথম| এই উদ্যোগ দেখে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। হাওড়ার পাত্র শিপিং প্রাইভেট লিমিটেড গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কমান এবং বায়ুদূষণ রোধ করার চেষ্টা। এখান থেকেই রাগ বোঝাই গাছ পৌঁছে যাচ্ছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাত সকালে রাস্তায় আধাসেনা জওয়ানরা…! ঝাড়গ্রামে ঠিক হলটা কী?
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে গাছ লাগানোর অঙ্গীকার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ| গাছপালা আমাদের পরিবেশ রক্ষা করবে, সেই লক্ষ্যকে স্থির করি এই কর্মসূচি। মানুষের হাতে চারা গাছ তুলে দিয়ে তার প্রকৃত যত্ন নেওয়ার বার্তা। প্রত্যেক পথ চলতি মানুষকে জানান হচ্ছে, গাছ অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে| তাই, গাছ লাগান এবং সবুজ পরিবেশ তৈরি করা সকলের দায়িত্ব। একদিকে যেমন ট্রাকে করে বিভিন্ন প্রান্তে গাছ পৌঁছে যাচ্ছে এর পাশাপাশি ব্যবসায়ী রাস্তায় নেমে পথ চলতি মানুষের হাতে গাছ তুলে দিচ্ছেন। এই কর্মসূচি একদিন বা দু’দিন নয়। বিগত কয়েক বছর ধরে বর্ষা থেকে টানা কয়েক মাস চলে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
২০১৮-১৯ সালে ৪৫০০০ গাছ লাগানো হয়েছিল | ২০২৪-২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় এক লক্ষ | আর ২০২৫-২৬ সালে এই লক্ষ্যমাত্ৰা ২ লক্ষ-এ গিয়ে দাঁড়িয়েছে | শাল, সেগুন, আম, জাম, কাঁঠাল, শিশু, চন্দন, অর্জুন সহ বেশ কয়েকটি গাছের চারা দেওয়া হচ্ছে| প্রথমে মাইকে প্রচার তারপর দূর-দুরান্তে গাছের চারা তুলে দেওয়া হচ্ছে মানুষের হাতে | সারা বছরে কয়েক মাস গাছ লাগানোর কর্মসূচিতে মেতে থাকেন হরেন বাবু। এমনকি বিএসএফকেও ৮০৫ টি গাছ প্রদান করা হয়েছে, তাদের ২০-২২ বিঘা জমিতে গাছ লাগান হয়েছে কয়েক মাস আগেই।
গাছপালা বিভিন্ন ধরণের প্রাণী ও উদ্ভিদের আবাসস্থল সরবরাহ করে, যা জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য অপরিহার্য |গাছ লাগানো একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে | এটি তাদের একটি সুন্দর এবং বাসযোগ্য পৃথিবী উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার |তিনি আরও বলেন গাছ লাগানো যেমন পরিবেশ রক্ষার জন্য গুরুত্ব তেমনি এই গাছ ভবিষ্যতে মানুষকে অর্থনৈতিক লাভবানও করতে পারে। তাই তিনি এবারে এই বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছে গাছ রোপণ শুধু নয় সেই গাছকে যত্ন করে লালন পালন করে তার ছবি পাঠালেই তিনি পুরস্কৃত করবেন।
রাকেশ মাইতি