চারিদিকে সবুজ প্রান্তর। সাজিয়ে তোলা হয়েছে একটি বাগান। রয়েছে ফোয়ারা, সেলফি জোন, বাচ্চাদের খেলার নানা জিনিস, বাচ্চা থেকে বড় সকলের জন্য রয়েছে বোটিং এর ব্যবস্থা। শুধু তাই নয় রয়েছে হোগলা পাতার পিকনিক শেড। স্বাভাবিকভাবে দূরের কোথাও নয়, কাছে এমন সুন্দর এক সবুজের ক্ষেত্রে এলে আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। সারাদিনের অক্সিজেন মিলবে এখানে, কেটে যাবে সারা সপ্তাহের ক্লান্তি।
advertisement
আরও পড়ুন- এই প্রথম টাকার মান এত পড়ল, ‘ধরাশায়ী’ ভারতের মুদ্রা! এখন ‘১ ডলার’ মানে কত টাকা জানেন?
আরও পড়ুন- ঠিক ‘১ মাস’ পরেই আপনার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হবে! যদি চোখে ফুটে ওঠে এই লক্ষণ, ভাল করে বুঝে নিন
সাংসারিক চাপ কিংবা অফিস করে ক্লান্ত? এই শীতে একটা দিন কোথাও ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন? কিংবা পিকনিকের পরিকল্পনা রয়েছে আপনাদের? তবে আপনার জন্য পারফেক্ট জায়গায় এটি। কলকাতা থেকে সামান্য দূরে প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে আস্ত একটি সবুজের বাগান। রয়েছে একাধিক ফুলের গাছ, চলাচলের পথে সাজিয়ে তোলা হয়েছে রঙিন আলপনায়। রয়েছে ফোয়ারা, বাচ্চাদের খেলার জায়গা, সেলফি জোনও। স্বাভাবিকভাবে শীতের এক দিনের ছুটিতে আপনি ঘুরে দেখুন এই পার্ক।
আরও পড়ুন- ৩ দিন এই গ্রামে কোনও ‘শব্দ’ নেই! মানুষ নেই, পশু নেই…! সবাই গেল কোথায়? অবাক করা ঘটনা
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রত্যন্ত ব্লক কেশিয়াড়ি। এখানে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে প্রত্যুষা পার্ক। বিশালাকার জায়গা জুড়ে রয়েছে এই পার্ক। বাচ্চা থেকে বড়দের বিনোদনের জন্য তৈরি প্রত্যন্ত গ্রামের এই পার্কটি। কলকাতা থেকে সামান্য কিছুটা দূরে, চারিদিকে ছোট বড় সবুজ গাছে ঘেরা। রয়েছে পিকনিক করার নানা বন্দোবস্ত। কংক্রিটের পিকনিক শেডের পাশাপাশি রয়েছে হোগলা পাতা দিয়ে তৈরি একাধিক পিকনিক করার জায়গা। গোটা পার্ক সাজিয়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছে। রয়েছে খরগোশ সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাণী। বাচ্চাদের খেলার নানান সরঞ্জাম। বিশাল আকার জায়গায় সারাদিন কাটিয়ে আবার ফিরতে পারবে নিজের কাজে। এছাড়াও রয়েছে বিশাল একটি পুকুরে বোটিং এর ব্যবস্থা।
স্বাভাবিকভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে যারা একটা দিন অন্তত ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন কিংবা পিকনিক করার পরিকল্পনা রয়েছে তবে ঘুরে দেখতে পারেন এই পার্ক প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী জেলার পাশাপাশি কলকাতা হাওড়া জেলার একাধিক মানুষ আসে এখানে। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র দেড়শ কিলোমিটারের মধ্যে। কীভাবে আসতে পারবেন এই পার্কে? প্রত্যুষা পার্কে আসতে চাইলে আপনাকে আসতে হবে খড়গপুর। ট্রেন কিংবা বাসের মধ্য দিয়ে পৌঁছতে পারেন সেখানে। এরপর সেখান থেকে বাসে চেপে কেশিয়াড়ি। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে টোটো কিংবা অটো করে পৌঁছানো যাবে এখানে। সামান্য অল্প খরচে পিকনিক শেড বুক করে করতে পারবেনপিকনিক, থাকতে পারবেন গোটা একটা দিন। তাই এই শীতে আপনার ডেস্টিনেশন হোক কেশিয়াড়ির প্রত্যুষা পার্ক।
গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/S2Yu9SN293VkVom8A
রঞ্জন চন্দ