আরও পড়ুন- সব তছনচ করে দেবে ঘূর্ণিঝড় ডানা! কবে থেকে দুর্যোগ? কী হাল হবে বঙ্গে? দেখুন আপডেট!
পুজোর আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য পর্যটন কেন্দ্রগুলি যেমন, দিঘা, অযোধ্যা, মন্দারমনি এবং তারাপীঠে রাত্রি বাসের জন্য হোটেল পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে মুকুটমণিপুরের মত মনোরম সুন্দর একটি জায়গা পড়ে রয়েছে পর্যটকদের অপেক্ষায়। এমনই চিত্র ধরা পরল লক্ষ্মী পুজোর পরের দিন। গুটিকয়েক পর্যটক যারা এসেছেন তারা নিজেরাই অবাক হয়েছেন। কেউ কেউ আবার পছন্দ করছেন এই ফাঁকায় মুকুটমণিপুর ঘুরে নেওয়ার সুযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন- ভারতীয় পুরুষ চান এই রাশিয়ান তরুণী! ভিডিও দেখে এগিয়েছিলেন যাঁরা… মাথা ঘুরে গেল ‘এই’ কারণে!
ইতিমধ্যেই তালডাংরা বিধানসভা উপনির্বাচন ঘোষিত হয়েছে। শুরু হচ্ছে তোড়জোড়। সেই কারণেই কি পর্যটকেরা, পিছিয়ে যাচ্ছেন? অপরদিকে পর্যটক না আসার কারণে যথেষ্ট ক্ষতির মুখে পড়েছে বিভিন্ন মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। মুকুটমণিপুরের কংসাবতী জলাধারের নৌকা চালকেরা বছরে এই সময়টাতে পর্যটকদের নৌকো বিহারে নিয়ে গিয়ে কিছুটা উপার্জন করে থাকেন সেই উপার্জনে ভাটা পড়েছে। পুজোর দু-একটা দিন ভিড় হলেও, পুজো শেষ হতেই যেন মা দুর্গার সঙ্গে পর্যটকেরাও ফিরে গেছেন যার যার গন্তব্যে। এক নৌকো চালক জানান, এমনিতেই পর্যটক হচ্ছে না, তার মধ্যেও যে’কজন আসছেন তাঁরা নৌকোয় চাপছেন না অংশীদারের অভাবে।
কংসাবতী জলাধারের নীল জলরাশি, গোটা জলাধার বিস্তৃত ছোট বড় টিলা। হরিণের দ্বীপ এবং পাহাড়ের উপরে শিবের মন্দির। সঙ্গে নৌকো বিহারের সুবিধা। সবকিছুই অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য। যারা আসছেন তারা ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরে নিচ্ছেন বাঁকুড়ার রানিকে। আর যারা আসছেন না তারা নিঃসন্দেহে মিস করছেন একটি সুবর্ণ সুযোগ। কারণ বছরের এই সময়ে মুকুটমণিপুরে নিঃশ্বাস ফেলার সময় থাকে না, পাওয়া যায় না হোটেল। কিন্তু এই বছরের চিত্রটা অন্যরকম, সেই কারণে আপনার প্রিয়জন কিংবা পরিবারের সঙ্গে একাকিত্বে প্রকৃতির বুকে কাটাতেই পারেন কয়েকটা দিন মুকুটমণিপুরে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী