দুই পর্যটক দিঘায় ভ্রমণ ও সমুদ্রস্নানের জন্য এসেছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং তীব্র বাতাসের কারণে সমুদ্র অত্যন্ত উত্তাল ছিল। প্রবল ঢেউ ও শক্তিশালী স্রোতের মধ্যে পর্যটকরা যখন সমুদ্রস্নানে নামেন, তখন সামান্য সময়ের মধ্যেই তারা সমুদ্রে তলিয়ে যান। পুলিশ ও কোস্টগার্ড তৎক্ষণাৎ উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শহরের কোলাহল ছেড়ে সবুজের মধ্যে রাত কাটান, প্রেমিক-প্রেমিকা, পরিবার নিয়ে ছোট্ট ছুটিতে ঘুরে আসুন
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের ঢেউ এমন উচ্চ ছিল যে পর্যটকরা মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে বিপদে পড়েন। কিছু পর্যটক সঠিক সময়ে সুরক্ষিত স্থানে ফিরে যেতে সক্ষম হলেও শংকর হাজরার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। নারায়ণ সাউকে দ্রুত উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়। নিহত শংকর হাজরার মৃত্যুতে পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অপরদিকে, নারায়ণ সাউ বর্তমানে সুস্থ আছেন।
প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল সতর্ক করেছেন যে, দিঘার সমুদ্র বর্তমানে অতিবিপজ্জনক। তারা পর্যটকদের অনুরোধ করেছেন, সমুদ্রস্নানের সময় সকল সতর্কতা অবলম্বন করুন এবং কোনও অবস্থাতেই পুলিশের নজর এড়িয়ে সমুদ্রস্নানে নামবেন না। দিঘার এই দুঃখজনক ঘটনা নতুন করে প্রমাণ করল যে, সমুদ্রের সৌন্দর্যকে ভ্রমণপ্রেমীদের আকর্ষণ করতে পারে, কিন্তু একই সঙ্গে সতর্কতা অবলম্বন না করলে জীবনহানি ঘটতে পারে। স্থানীয় প্রশাসন ও কোস্টগার্ড এখন আরও শক্তিশালী সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা পুনরায় না ঘটে।