প্রতি বছর ধরে ভক্তদের মাটি দেওয়ার ফলে এখানে তৈরি হয়েছে মাটির পাহাড়। একসময় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গঙ্গা এখন পলি পড়েছে, তবে সে সময় জল থাকত। সেখান থেকে স্নান করে এবং চাষের জমি থেকে মাটি মাথায় নিয়ে, পাহাড়সম চূড়ায় নিম গাছের গোড়ায় পুজো দিয়ে থাকেন পুণ্যার্থীরা। তবে কোন মূর্তি নয়, জাগ্রত সুউচ্চ ঢিলা ভূমি এবং গাছের গোড়ায় এখানে দেবতা।
advertisement
আরও পড়ুন: লিচুকে বলে বলে গোল দিচ্ছে তাল! শাঁস বিক্রি করে ব্যবসাদার কত কামাচ্ছে জানেন! শুনলে আপনিও বলবেন ‘এত’
মনস্কামনা পূর্ণ হওয়া ভক্তবৃন্দরা খিচুড়ি এবং বিভিন্ন তরকারি ভোগের প্রসাদ হিসেবে আগত হাজার হাজার ভক্ত বৃন্দকে বিতরণ করেন বিভিন্নজন। এই উপলক্ষে প্রত্যেক বাড়িতে রান্না বন্ধ থাকে। মহিলারা সকলে এসে হাতে হাত লাগিয়ে রান্নার কাজ করে থাকেন। বর্তমানে এই পুজো ঐতিহ্য এবং পরম্পরায় পরিণত হয়েছে। তবে প্রত্যেকের মুখেই বিষাদের সুর। হাজার হাজার পুণ্যার্থীদের স্নান করার জলের অভাব, মহিলাদের শৌচাগার এবং স্নানের পর ভিজে কাপড় জামা পরিবর্তনের ঘর, বিপদজনক উচ্চতায় উঠতে সিঁড়ি, উচ্চ বাতিস্তম্ভ, পানীয় জলের কল এ সবই প্রয়োজন। পঞ্চায়েত সদস্য হোক বা সমিতি কিংবা জেলা পরিষদ কেউ কখনই খোঁজ নিয়ে তৎপর হননি বলেই অভিযোগ। বাকি কাজগুলির জন্য অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতীক্ষায় এলাকাবাসী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উদ্যোক্তারা জানালেন, পুজো একদিনের হলেও পাঁচ দিন ধরে চলে মেলা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ভক্তরা জানালেন, উঁচু ওই মাটির ঢিবিতে কখনও বাজি পটকা ফাটেনা। নিম গাছগুলিতে মাইক লাগালে তা কিছুক্ষণ পরে বন্ধ হয়ে যায়, চাষের জমিতে ট্রাক্টর কিংবা অন্যান্য গাড়ি ফেঁসে গেলে পুজো না দেওয়া পর্যন্ত কারো সাধ্য নেই সেই গাড়ি তোলে। তবে এসবই ভক্তবৃন্দদের বিশ্বাস।
Mainak Debnath