মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে বুধবার সকাল নাগাদ শেষ হয় কাটোয়ার ঐতিহ্যবাহী এই শোভাযাত্রা। যা বিখ্যাত কাটোয়ার কার্তিক লড়াই নামে। ছোট বড় মিশিয়ে এদিনের এই শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছিল শহরের একাধিক ক্লাব। রাজ্য তথা দেশের নানা প্রান্তের বিখ্যাত আলোকসজ্জা, ব্যান্ড ও শিল্পীদের উপস্থিতিতে একেবারে জমজমাট হয়ে ওঠে কাটোয়ার লোক উৎসব কার্তিক লড়াই। শহরবাসীর মনোরঞ্জন করতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় বিভিন্ন নামিদামি শিল্পীদের নিয়ে আসা হয়েছিল দেশের নানা প্রান্ত থেকে।
advertisement
প্রসঙ্গত,কার্তিক লড়াই উপলক্ষে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা কাটোয়া শহর। খোলা হয়েছিল পুলিশ কন্ট্রোল রুমও। পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশাসনের তরফে রুট নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই রুটেই সম্পন্ন হয়েছে কাটোয়ার কার্তিক লড়াই। সমস্ত রকম বিশৃঙ্খলা রুখতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে শহরের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনার কথা সামনে এসেছে।
শহরবাসীর একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, শহরের কিছু ক্লাবের শোভাযাত্রা দীর্ঘ সময় একই জায়গায় আটকে থাকায় সামগ্রিক ভাবে কিছু বিলম্ব হয়েছে। এছাড়া, বিশালাকার লাইটের গেট আটকে পড়ায়, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে শহরের একটি পাড়ায় গ্যাস কাটার দিয়ে বিদ্যুৎ পোলের তার কাটতেও দেখা যায়। এছাড়া, কয়েক জায়গায় ভিন রাজ্য থেকে আগত নামী ব্যান্ডের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে সাময়িক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। যদিও ক্লাবগুলির সদস্য এবং পুলিশের তৎপরতায় সে সমস্ত কিছুরই মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। তবে শোভাযাত্রার মূল স্রোতে ঢুকতে কিছু কিছু ক্লাবের অনেকটাই দেরি হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সবথেকে প্রাচীন পুজো ন্যাংটা কার্তিকের শোভাযাত্রা মূল স্রোতে ঢুকেছে প্রায় রাত ১২টা নাগাদ। এছাড়া রাস্তার দু’পাশে বসে থাকা দর্শনার্থীদের তিন থেকে চার ঘন্টা ধরে বসে থেকে দেখতে হয়েছে মাত্র একটি বা দুটি ক্লাবের শোভাযাত্রা। ভোর চারটে নাগাদ দেখা যায় শহরের বড় একটি ক্লাবকে পুরো শোভাযাত্রার রুট শেষ না করেই অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে যেতে। এছাড়াও আরও অনেক ক্লাব পুরো রুট পরিক্রমা করার আগেই ভিন্ন ভিন্ন রাস্তা দিয়ে ফিরে গিয়েছে।
সকাল ৭:৩০ নাগাদও শোভাযাত্রা ঘুরতে দেখা যায় শহরে। তবে কিছু জায়গায় বড় বড় লাইটের গেট আটকে যাওয়ার জন্য শোভাযাত্রার গতি অনেকটাই ধীর হয়ে যায়। সব মিলিয়ে শহরবাসীর একাংশের মতে শোভাযাত্রা এবছর অনেকটাই ধীর গতিতে হয়েছে। বহু মানুষকে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয়েছে। তবে কাটোয়ার ঐতিহ্যবাহী কার্তিক লড়াইয়ে এইরকম ঘটনা কেন ঘটল তা নিয়ে শহরজুড়ে এখন চর্চা তুঙ্গে।





