পাঁতিহালের দত্তরা, কালাচাঁদ রায়ের আমলে বর্ধমান রাজার কাছে রায় বাহাদুর উপাধি পেয়ে দত্ত-রায়বাহাদুর হন। বর্তমানে ৫০-এরও বেশি পরিবার রয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় সকলে একত্রিত হন। এক সময়ের বিশাল জমিদারি, রায় বাহাদুর বাড়ির একটি প্রবেশদ্বার, প্রায় ৩২ বিঘা জমির উপর বাড়ি, চারদিক পরিখা দিয়ে ঘেরা। দুর্গা মঞ্চের সঙ্গে রয়েছে দোল মন্দির, পাশে শ্যামসুন্দরের মন্দির ও কালী মন্দির। রায় বাড়ির প্রধান দেবতা শ্যামসুন্দর। শ্যামসুন্দর ও রাধার যুগল মূর্তি পূজিত হয়।
advertisement
পরিবারের সদস্য তরুণ রায় জানান, রায় বাড়িতে দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয় কয়েক মাস আগে থেকে। জন্মাষ্টমী থেকে প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়। ঢাকি,কামার, নাপিত, ব্রাহ্মণ ও মৃৎশিল্পী এখানে বংশ-পরম্পরায় কাজ করেন।
গ্রামের বাসিন্দা শুদ্ধশীল ঘোষ জানান, অন্যান্য পুজোর থেকে এই পুজোয় বেশ কিছু রীতিনীতি আলাদা। শক্তির দেবী দুর্গা দশভূজা রূপে পূজিত হন। কিন্তু এই রায় বাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িতে দুর্গার চতুর্ভূজা রূপ।”