পূর্ব বর্ধমানের ইদিলপুরের ঘোষ পরিবার। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে তিলকরাম ঘোষ ও উমাচরন ঘোষ স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু করেন এই পুজো। সেই থেকে একই কাঠামোয় হচ্ছে পুজো। প্রতিবছর দামোদর নদ থেকে ঘট উত্তলনের মাধ্যমে দেবীর পুজা শুরু হয়, দেবীর ভাসানও হয় দামোদর নদে। প্রতিবছর কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় দেবীকে। ভাসানের পরের দিন আবার কাঁধে করে কাঠামো তুলে এনে রাখা হয় মন্দিরে।
advertisement
আরও পড়ুন : অসময়ে মেলা শান্তিকেতনে, দোকানের ছড়াছড়ি! ১০০ বছর ধরে চলছে, আপনি গিয়েছেন কখনও?
সারা বছর শনি,মঙ্গলবারে পুজো করা হয় দেবীর। রথের দিন প্রথম মাটি দিয়ে শুরু হয় দেবীর প্রতিমা গড়ার কাজ। এমনকি বংশ পরম্পরায় একই পরিবার থেকে ঢাকি আসেন এই পুজোয় ঢাক বাজাতে। ঘোষ বাড়ির পুজোয় হয় না অন্ন ভোগ। দেবীকে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় লুচি ও বিভিন্ন রকমের পদ। সপ্তমী ও অষ্টমীতে হয় ছাগ বলি এবং নবমীতে মহিষ, ছাগ, ভেড়া, ছাঁচি কুমরো ও আঁখ বলির প্রথা রয়েছে ঘোষ পরিবারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পরিবারের সদস্যা গীতা ঘোষ জানান, একটা সময় বলি প্রথা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে বন্ধ করা হয়নি। আগে রামায়ণ পাঠ হলেও বর্তমানে তা বন্ধ। তবে পুজো চার দিন নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। কাকলি ঘোষ জানান, সারাবছর বাইরে থাকলেও পুজোতে সবাই বাড়িতে আসে। এক সঙ্গে খাওয়া, মজা করে কাটানো হয়। পূর্ব বর্ধমানের ইদিলপুরের ঘোষ পরিবারের এই দুর্গাপুজো শুধু একটি উৎসব নয়, এটি এক পারিবারিক বন্ধন। যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই প্রথা আর ভালবাসার ধারা বয়ে চলেছে।