পুরুলিয়া জেলার ক্ষত্রিয় সমাজের একমাত্র এই গ্রামে দুর্গাপুজো হত। দিগতোড় গ্রামের ক্ষত্রিয়রা অনেকেই সেখানে পুজো দেখতে যেতেন। কিন্তু, যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক দূরত্ব হওয়ায় গ্রামের তাঁরা পুজো করার পরিকল্পনা নেন। আগে মাটির দুর্গামন্দির ছিল। এখন মন্দির পাকা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বাংলার ১৩০১ সালে ওই গ্রামে দুর্গা পুজো শুরু হয়। তৎকালীন সময়ে গ্রামের সারদাপ্রসাদ রায়, নাগর রায়, জ্যোতিপ্রিয় রায় প্রমুখ পুজো শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বাজার কাঁপাচ্ছে এআই! কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তি কী হয়ে উঠবে যন্ত্রণার কারণ? এই মণ্ডপে গেলে বুক কেঁপে উঠবে
কাশিপুরের কোনও এক মহারাজ পুজোর উদ্বোধন করেছিলেন। বর্তমানে পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা বিনয়কৃষ্ণ রায়, অপূর্ব রায় বলেন, তখনকার দিনে এলাকায় কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিল না। সেই কারণেই গ্রামে দুর্গাপুজোর প্রচলন ঘটেছিল। এবার পুজোকে বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকে। পুজোর মধ্যে দু’দিন পেশাদারী যাত্রার দল আনা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের মাঝে একসঙ্গে লাগোয়া চারটি মন্দির। দুর্গা মন্দিরের ডান পাশে রয়েছে শিব মন্দির, সামনে রয়েছে হরিমন্দির, তার একটু সামনে রয়েছে কালী মন্দির। দিগতোড় গ্রামে ১৪০টি রায় পরিবারের বসবাস। পুজোর চারটি দিন প্রতিটি পরিবারে উৎসবের আমেজ আত্মীয়-স্বজনের আনাগোনা থেকে পুজোর কাজে ব্যস্ত থাকেন সবাই।