প্রথমদিকে এখানে মাটির দেওয়াল ও টিনের ছাউনি দেওয়া ছোট্ট মন্দির ছিল। তখন মিত্র পরিবার মাটির মূর্তিতেই দেবী দুর্গার পুজো করতেন। কিন্তু এক বছর বিসর্জনের সময় ঘটে যায় এক অঘটন। মূর্তি বের করার সময় দেবীর দু’টি আঙুল ভেঙে যায়। সেই রাতেই পরিবারের এক সদস্য স্বপ্নাদেশ পান। সেখানে মা দুর্গা নিজেই জানান এবার থেকে আর মূর্তি নয়, পটে তাঁর পুজো হবে। সেই নির্দেশ মেনে বংশপরম্পরায় আজও চলছে পটের পুজো।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সীমিত বাজেটেই তুখোড় ভাবনা! বালুরঘাটের ‘এই’ ক্লাবের নজরকাড়া থিম, ফিরছে হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য
মিত্র পরিবারের সদস্য প্রবাল মিত্র জানান, “৩০০ বছরের অধিক প্রাচীন এই পুজো আমাদের গর্ব। দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরি বিশাল মন্দির চত্বরের পাশে রাধাবল্লভ ও গোপাল মন্দিরও রয়েছে। একসময় মাটির মন্দির ছিল, টিনের ছাউনি দেওয়া। এখন সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে। পাকা ঘর, বিদ্যুৎ সবই হয়েছে, কিন্তু রীতি একটুও বদলায়নি”।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রবীণ স্বপন মিত্রও পুরোনো দিনের কথা শোনালেন। তিনি বলেন, “শুরুতে মাটির মূর্তিই হত। কিন্তু বিসর্জনের সময় মা দুর্গার আঙুল ভেঙে গেলে স্বপ্নাদেশ আসে। তখন থেকেই নবপত্রিকার সঙ্গে পটের পুজো চলছে”। বর্তমানে কর্মসূত্রে মিত্র পরিবারের অনেকেই দেশ-বিদেশে থাকেন। কিন্তু দুর্গাপুজোর চারদিন সকলেই সাধ্যমতো চিনপাই গ্রামের এই মন্দিরে ফিরে আসেন।