সেই বাড়িতেই আজও পূজিত হয় ধুনির ঘরের দুর্গা, যা একসময় দুই বাংলার মানুষের কাছে হয়ে উঠেছিল অন্যতম আকর্ষণ। আজ আর জমিদারবাড়ির জৌলুস নেই। তবু হারায়নি পুজোর আভিজাত্য। অষ্টমী ও নবমীতে গ্রামের প্রতিটি মানুষ ভিড় জমান মহাভোজে, যা স্থানীয়রা ‘ভজরাম’ নামে চেনেন। বছরের এই কয়েকটি দিন পানিতর যেন ফিরে পায় তার অতীত ঐশ্বর্য।
advertisement
পানিতরের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বিভূতিভূষণের জীবনের বহু অজানা অধ্যায়। শৈশবেই বাবার হাত ধরে গ্রামে যাতায়াত শুরু হয়েছিল তাঁর। এখানেই পরিচয় হয় মোক্তার কালীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে গৌরীদেবীর সঙ্গে। পরে যাঁকে তিনি বিয়ে করেন। তবে বিয়ের মাত্র এক বছর পরই কলেরায় অকালে মৃত্যুবরণ করেন গৌরীদেবী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্ত্রীর শোকে ভেঙে পড়া বিভূতিভূষণ দীর্ঘদিন কাটিয়েছেন এই গ্রামে। এখানেই তিনি লিখেছেন ‘পথের পাঁচালী’ ও ‘ইছামতী’-র মতো অমূল্য সৃষ্টি। আজও ধুনির ঘরের এই পুজো কেবল পুজো নয়, বহু ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক স্মৃতির বাহক। স্থানীয়দের পাশাপাশি ওপার বাংলার মানুষদেরও ভিড় জমে এখানে। বিভূতিভূষণের স্পর্শে ধন্য এই পুজো তাই শুধু ঐতিহ্যের নয়, সাহিত্যপ্রেমীদের কাছেও সমান তাৎপর্যপূর্ণ।