TRENDING:

Traditional Durga Puja 2025: জরাজীর্ণ বাড়িতে কমেছে ৩০০ বছরের পুজোর জৌলুস, কিন্তু কালের গর্ভে তলিয়ে যায়নি ইতিহাস

Last Updated:

Traditional Durga Puja 2025: লর্ড ক্লাইভের হাত ধরে জমিদারি উত্থান ! ১৫ দিন ধরে চলে বসু বাড়ির দুর্গাপুজো

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ বারাসাত, সুমন সাহা: ১৭২৫ সালে বাংলার গভর্নর লর্ড ক্লাইভের হাত ধরে জমিদারি উত্থান। তৎকালীন সময়ে অবিভক্ত বাংলায় বাংলাদেশ থেকে কৃষ্ণচন্দ্র বসুকে দক্ষিণ বারাসাতে নিয়ে আসেন লর্ড ক্লাইভ।দেওয়ানি ব্যবস্থায় বর্তমান দক্ষিণ ২৪ পরগনার দক্ষিণ বারাসতে বেশ কিছু অঞ্চলের দেওয়ানি পান কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷ প্রতিষ্ঠা করেন প্রাসাদোপম বসতবাড়ি ৷ শোনা যায়, তিনি নাকি শরতে দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশ পান। তৈরি হয় শিবের মন্দির এবং শুরু হয় দুর্গাপুজো ৷ সেই থেকে চলে আসছে ৷ বর্তমান প্রজন্ম সেই রীতি অনুযায়ী দুর্গাপুজো চালিয়ে যাচ্ছেন ৷ কৃষ্ণচন্দ্র বসুর জমিদারির সময়কালে দুর্গাপুজোতে আমন্ত্রিত হতেন ব্রিটিশ আধিকারিকেরা । তাঁর আতিথেয়তায় প্রসন্ন হয়ে কৃষ্ণচন্দ্র বসুকে ‘রাজা’ উপাধি দেয় তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার ।
advertisement

স্বাভাবিক ভাবে সুবিশাল বাড়ি এখন জরাজীর্ণ ৷ পুজোর আয়োজনের জৌলুসও কমেছে, কিন্তু কালের গর্ভে তলিয়ে যায়নি ৷ অতীতে জমিদারের অধীনস্থ প্রজাদের বর্তমান প্রজন্মও বসু বাড়ির পুজোয় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুজোর আয়োজনে হাত লাগায় । কৃষ্ণ নবমী থেকে এই পুজোর শুভ সূচনা হয়। টানা ১৫ দিন ধরে এই বসু পরিবারে চলে দুর্গাপুজো। ৩০০ বছরে প্রাচীন ঐতিহাসিক এই পুজো।পুজোর বিশেষত্ব পঞ্চমীতে নয়, ১৫ দিন আগে থেকে দেবীর দুর্গার বোধন শুরু হওয়ার রীতি । পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে পুজো করেন পুরোহিতেরা, জানালেন বর্তমান প্রজন্মের সদস্য সায়ন্তন বসু ৷ বংশপরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করে আসছে মৃৎশিল্পীরা । পুজোর সময় ডাক পড়ে ঢাকিদের ।

advertisement

এই পুজোয় বিশেষত্ব হল এই পুজোতে বসু পরিবারের কোনও মহিলা সদস্যরা কাজ করেন না। বসু পরিবারের সদস্য সায়ন্তন বসু  জানান, লর্ড ক্লাইভের আমলে আমাদের পূর্বপুরুষ কৃষ্ণচন্দ্র বসু অবিভক্ত বাংলাদেশ থেকে তিনি এই দক্ষিণ বারাসতে এসে জমিদারি আধিপত্য স্থাপন করেন। স্বপ্নাদেশের পর এই পরিবারের শুরু হয় দুর্গাপুজো। তৈরি করা হয় সুবিশাল দালান বাড়ি এবং মন্দির। আমাদের এখনও পর্যন্ত বলিদান প্রথা রয়েছে। ১৫ দিন ধরে আমাদের এই দুর্গাপুজো চলে। বিশাল প্রাসাদ এখন জরাজীর্ণ অবস্থা আগের সেই মন্দির সেই মন্দির ও কালের নিয়মে ভেঙে গিয়েছে। নতুন করে মন্দির সংস্কারের কাজ আমরা শুরু করেছি। পুজোর দিনগুলি বসু পরিবারের যে সকল সদস্য কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে কিংবা দেশের বাইরে রয়েছেন তাঁরাও পূজার দিনগুলিতে বাড়িতে চলে আসে। সবকিছুই নতুন করে গড়ে তুলছেন তাঁরা ৷ কার্যত পুজোর দিনগুলি পরিবারের সদস্যদের সাথে এবং প্রজাদের সাথে আনন্দে কাটে আমাদের।’’

advertisement

আরও পড়ুন : নবমীর ভোগে চিংড়ি মাছ! বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর মামাবাড়ির ঐতিহাসিক পুজোর বৈচিত্রে ভরা

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
শীতের মরশুম এলেই গৃহবধূদের উপরি রোজগার! সংসার সামলে ছুটছেন মোয়ার দোকানে
আরও দেখুন

এ যুগেও প্রাচীন ঐতিহ্যকে বজায় রাখার চেষ্টা করছে একুশ শতকের প্রজন্ম । বর্তমান প্রজন্মের সুমন্ত বসু বলেন, ‘‘ ‘‘আমাদের পূর্বপুরুষ কৃষ্ণচন্দ্র বসু এই পুজোর শুভ সূচনা করেছিল। তারপর থেকে পূর্বপুরুষের হাত ধরে বংশ পরম্পরায় এই পুজো চলে আসছে। বর্তমানে আমরা এই পুজোর দায়িত্বভার নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছি। অতীতের জৌলুসে কিছুটা ভাটা পড়লেও এখনও পর্যন্ত প্রাচীন রীতিনীতি বহাল রয়েছে এই পুজোতে। আর পাঁচটা পুজোর থেকে আমাদের এই পুজো একটু আলাদা, ১৫ দিন ধরে এই পুজো চলে। আমাদের পুজো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র বসু ৷ একসময় এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হত ৷ এখন ৪০-৫০ কিলো চালের নৈবেদ্য হয় ৷ নবমীর দিন বিকেলে পরিবার, বন্ধু, পাড়ার সবাইকে নৈবেদ্য আর পাঁঠার মাংস প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়, জানালেন বসু পরিবারের মেয়ে ৷ মা চণ্ডীর ঘটে ১হাজার বেলপাতা, ১ হাজার তুলসি পাতা দিতে হয় ৷ হোমের আগুনও ৫ দিন ধরে একভাবে জ্বলতে থাকে আলাদা একটি ঘরে ৷ অতীতে পালাগান ও কবিয়ালের আসরও বসত এই বাড়িতে । অতীতের সেই , জৌলুস আমরা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি।

advertisement

Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Traditional Durga Puja 2025: জরাজীর্ণ বাড়িতে কমেছে ৩০০ বছরের পুজোর জৌলুস, কিন্তু কালের গর্ভে তলিয়ে যায়নি ইতিহাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল