শনিবার আন্তর্জাতিক উপকূলীয় পরিষ্কার দিবস। জাতীয় উপকূলীয় গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় এগরা সারদা শশীভূষণ কলেজের কয়েকজন পড়ুয়া দল বেঁধে নেমে পড়েন সৈকত পরিচ্ছন্নতায়। হাতে গ্লভস, ব্যাগ আর অগাধ উদ্যমতা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সৈকতের রূপ পাল্টে যায়। বালুকাবেলায় আর নেই আবর্জনার স্তুপ—সামনে শুধু পরিচ্ছন্ন সমুদ্র আর সুন্দর দিঘা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন দিঘা এখন শুধু পর্যটনের জন্য নয়, পরিবেশ সচেতনতারও প্রতীক। সমুদ্রকে ঘিরে বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষ আসেন দিঘায় তাই সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখা প্রত্যেকের দায়িত্ব। কলেজ পড়ুয়াদের এই উদ্যোগ স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যেও নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিল।
advertisement
আন্তর্জাতিক উপকূলীয় পরিষ্কার দিবসে একদিকে প্রশাসনের তরফে বিভিন্ন কর্মসূচি, অন্যদিকে এগরা কলেজের পড়ুয়ারাও দল বেঁধে নেমে পড়েছে সৈকত পরিষ্কারের কাজে। সবমিলিয়ে দিঘাকে পেয়েছে এক নতুন রূপ। সমুদ্রতীর হয়ে উঠেছে আরও ঝকঝকে, আরও পরিচ্ছন্ন, যা পুজোর আগে পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। দিঘার সৌন্দর্য এখন দ্বিগুণ। সমুদ্রের ঢেউ আর সূর্যাস্তের সঙ্গে যোগ হয়েছে ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন সৈকতের টান।
এবারের পুজোয় দিঘা ভ্রমণ মানে শুধু আনন্দ নয়, সঙ্গে থাকবে গর্বের অনুভূতিও, কারণ দিঘা এখন সত্যিই নতুন সাজে সেজে উঠেছে। কলেজের অধ্যাপক ড. সুদীপ্ত ঘোড়াই বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্বেও এগিয়ে আসে, তাহলে সমাজ বদলানো খুব কঠিন কিছু নয়। দিঘার এই পরিচ্ছন্নতা সেই বার্তাই দিচ্ছে।’