সাধারণত ডিসেম্বর মাস থেকে পর্যটন মরশুম শুরু হয় শান্তি নিকেতনে। তবে এবারশীতের শুরু থেকেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এ ছবি স্পষ্ট বোঝা যায়সোনাঝুরি হাটে পর্যটকদের ভিড় দেখেই। পর্যটক বাড়লেও প্রযটন শিল্পের অন্যতম অঙ্গ হোটেল ব্যবসায় পড়ছে ভাটা। এর অন্যতম কারণ হিসেবে হোটেল ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি,২০২০ এর করোনা কালের পর থেকেই ধীরে ধীরে শান্তিনিকেতনের হোটেলগুলিতে কমছে পর্যটকদের রাত্রিবাস । বিশ্বভারতীর কলাভবন, সংগীত ভবন, রবীন্দ্র ভবন, গৌড় প্রাঙ্গন সহ আশ্রম চত্বরে আগে অবাধ প্রবেশাধিকার ছিল পর্যটকদের। কিন্তু গতচার বছর ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এগুলো পর্যটকদের জন্য।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ক্লিকেই হাতের মুঠোয় পঞ্চায়েত! তাক লাগানো অ্যাপ, জানুন বিস্তারিত
ঘুরে দেখার সুযোগ মিলছে না বলেপর্যটকরা ভেতরে ঢুকতে অথবা ভেতরেঘুরে দেখতে পারছেন না । ফলেরাস্তা থেকেই যেটুকু চোখের দেখা হয়,সেটুকু দেখেই ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের । খুবই কম সময়ের মধ্যে তাদের দেখা শেষ হয়ে যাচ্ছে শান্তি নিকেতন। মিলছে না কবিগুরুর বিভিন্ন কৃতিত্ব চাক্ষুস করার সুযোগও। স্বভাবতই বেশিরভাগ পর্যটক গাড়িতে করে এসে ঘন্টা খানেকের সফর সেরেই ফিরে যাচ্ছেন অন্যত্র। ফাঁকা থেকে যাচ্ছে হোটেলগুলো।শান্তিনিকেতনের হোটেল ব্যবসায়ীদের দাবি, ২০১৯ এর তুলনায় ৫০ শতাংশ কমেছে পর্যটকদের শান্তিনিকেতনের হোটেলে রাত্রিবাস । যদিও কেউ কেউ আবারকরোনা কালের পর থেকে অর্থ সংকটকেও দায়ী মনে করছেন হোটেল ব্যবসায় এই চরম আর্থিক বিপর্যয়কে।
এখন মূলত, পর্যটকরাখোয়াই হাট ঘুরে ও রাস্তা থেকে বিশ্বভারতী দেখেফিরে অন্য কোনও পর্যটন কেন্দ্রযেমন তারাপীঠএ রাত্রিবাস করছেন অথবা বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এছাড়াও পৌষ মেলা , বসন্ত উৎসবকে কেন্দ্র করেপর্যটকদের রাত্রিবাসের যেপ্রবণতা ছিল তাও দিন দিন কমছে কারণ সেই অর্থে পৌষ মেলাও আর হয়না।
সৌভিক রায়