টালিগঞ্জের গ্রাহামস রোডে ভ্যাটের মধ্যে যুবতীর মাথা উদ্ধারের ঘটনায় ডায়মন্ড হারবারে পঞ্চগ্রাম এলাকা থেকে একজনকে আটক করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। অভিযুক্তের নাম আতিকুর রহমান লস্কর, পেশায় রং মিস্ত্রি। শুক্রবার পঞ্চগ্রাম থেকে তাকে আটক করে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন-শীতের ভোরে ‘মর্নিং ওয়াক’ করে এই বিপদ ডেকে আনছেন! হাঁটার ‘পারফেক্ট’ সময় কোনটা? জানুন
advertisement
টালিগঞ্জ এলাকায় উদ্ধার কাটা মুণ্ডুর পরিচয় মিলেছে। তাঁর নাম খাদিজা বিবি। মগরাহাটের বাসিন্দা।
ডায়মন্ড হারবার থেকে গতকাল রাতেই আটক করে আতিকুরকে।
মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে আতিকুরের গতিবিধি। সকালেও একাধিকবার এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘুরছিল আতিকুর। বেলার দিকে ডায়মন্ড হারবার ফিরে যায়। সেখান থেকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশ। সূত্রের খবর, তার ফোনের টাওয়ার ম্যাচ করে গেছে।
খাতিজা বিবি রিজেন্ট পার্ক এলাকায় পরিচারিকার কাজ করতেন। খুনের মোটিভ জানতে আতিকুরকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-কিডনি ‘fail’-এর সংকেত! ‘এই’ লক্ষণগুলো শরীরে এলেই সতর্ক হন, ফেলে রাখলেই সব শেষ…!
পুলিশের কাছে খুনের মোটিভ মোটামুটি পরিষ্কার। বিবাহিত খাতিজা কোনও ভাবে বছর খানেক আগে পেশায় রাজমিস্ত্রি আতিকুর রহমান লস্করের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন খাদিজা। এরপর পরিবারের চাপে বিগত ৩ মাস ধরে তিনি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আতিকুর। সেই আক্রোশ থেকেই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান। দেহ কটার জন্য করাত জাতীয় কোনও যন্ত্র ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- সস্তার এই ‘পাতা’র হাজার গুণ! মোমের মতো চর্বি গলে, পালায় ক্যানসার! দূরে থাকে ‘স্ট্রেস’
পুলিশ নিশ্চিত করতে চাইছে…. কোথায় হয়েছিল? খুনের পর দেহের বাকি অংশ কোথায় ফেলা হয়েছে? এই খুনে আতিকুরের অন্য কোনো সহযোগী ছিল কিনা? খুনের পর দেহাংশ একেক জায়গায় ফেলার ক্ষেত্রে কোনও গাড়ি ব্যবহার হয়েছিল কিনা? হয়ে থাকলে সেটা কি গাড়ি?